কবিতায় শান্তনু প্রধান

সমুদ্র দর্শনের ওপারে
মুক্তি নেই যেনে
অবশেষে তুমিও কি তাই ট্রিগার টেনে দিলে
বুকের ভেতর জেগে থাকা ধ্রুপদী সহর
পথের ফাটলে ঢুকে যাচ্ছে যত্নের বিজ্ঞাপন
তবু আমি সেই ফাটল মুখে চিৎ হয়ে শুয়ে আছি
যদি কখনও কোনো দিন ভূগর্ভ থেকে উঠে মুখোমুখি
তুমিই তো সুন্দর কেনো যে শুধু মিথ্যে অপচয়
শেষ বারের মত ক্ষমা করে দিও
পারবেকি হাঙ্গরের মতো সমস্ত খরা উইথড্র করে নিতে
একবার যদি তুমি মেঘ হও
সমস্ত অভিমান খুলে রেখে আমিও তার ব্যাতিক্রম হব কোনো
মৌসুমি তে ভরে উঠবে বসন্ত রেণু
আর তোমার মসৃণ চুলের গোপন উষ্ণতায়
গঙ্গা হারাবে আমার বেলফুল জুঁই ফুল
এই আমাদের ঘর্মাক্ত সমীকরণ
এই আমাদের অতীত বর্ণের কেপটাউন
এই কি তবে প্রত্যক্ষ দর্শন বিভাজিত জন্মের অন্তর্গত সংঘাত জুড়ে
বয়ে চলা সুবর্ণরেখা
কিছুই বুঝি না
হয় তো তাই কোনো নাশকতা ছাড়াই
বুকের ভেতর ভেঙে যাচ্ছে মনসংযোগ
গুঁড়িয়ে দিচ্ছ পালিত শ্রমের শহর
শুধু অক্ষর বুঝি না বলে তাই নয়
জলের সঠিক ব্যবহারও জানতে হয়।