গারো পাহাড়ের গদ্যে এস এম শাহনূর (পর্ব – ৯)

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য খুলনার দক্ষিণডিহি :
রবীন্দ্রনাথ বাইশ বছর বয়সে ১৮৮২ সালে তার মেজবৌদি ও সেজ বৌদির সাথে খুলনা জেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে এসেছিলেন। কবির মামাবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি উভয়ই খুলনা জেলার ফুলতলা থানার দক্ষিণডিহি গ্রামে। রবীন্দ্রনাথের মা সারদা সুন্দরী দেবী ও কাকীমা ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী এই গ্রামেরই মেয়ে। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীও তাই। ১৮৮২ সালে পূজার ছুটির সময় সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী উৎসাহী হয়ে বাস্তুভিটা দেখবার অজুহাতে কাছাকাছি পীরালী পরিবারের কোনো কন্যাকে বধূ হিসেবে বরণের জন্যে আসেন। জ্ঞানদানন্দিনীর সঙ্গে কাদম্বরী দেবী, বালিকা ইন্দিরা, বালক সুরেন্দ্র নাথ ও রবীন্দ্রনাথ আসেন পুরান ভিটা দেখতে। সে সময় ফুলতলা গ্রামের বেণীমাধব রায় চৌধুরীর কন্যা ভবতারিনীকে তারা নির্বাচন করেন, যার নাম বিয়ের পরে হয় মৃণালিনী। শৈশবে কবি কয়েক বার তাঁর মায়ের সঙ্গে দক্ষিণডিহি গ্রামের মামা বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে কবিগুরু ও কবিপত্নীর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
➤রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য পিঠাভোগ:
পিঠাভোগ গ্রামটি বাংলাদেশের খুলনা জেলার ভৈরব নদের অববাহিকায় অবস্থিত একটি গ্রাম। এটি রবীন্দ্রনাথের পিতৃপুরুষের ভিটা। একবার খুলনায় সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি পিঠাভোগ গ্রামে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে তিনি আদৌ পিঠাভোগ গ্রামে যেতে পেরেছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।