গদ্যের পোডিয়ামে সোমা মুখার্জী বাবলি – ধারাবাহিক – (পর্ব – ১)

লাইফ লেজা্র
“হ্যালো হ্যালো কি রে টিকিট কেটেছিস?”
“না রে যাওয়া হয়নি চাপাডালি।”
“সে কি? টিকিট টা কাট । আর তো বেশি দিন নেই যাওয়ার। আর হোটেল? খোঁজ নিয়েছিস? ”
“না রে একটুও সময় পাইনি। এত অনুষ্ঠান না পর পর । কাল ! না না পরশু যাবো সিওর।”
কথোপকথন পরিশেষে রিক্তা ফোনটি রেখে দেয় , আর ভাবতে থাকে পরশু কখন যাবে !
আবার ফোন টি বেজে ওঠে , ” ঈদের ছুটিতে খুব ভিড় হবে কিন্তু।” আরে হ্যাঁ রাখ তুই এখন। আমি সব দেখে নিচ্ছি।
ও প্রান্তের কন্ঠস্বর টি বিদিশার। রিক্তা আর বিদিশা তিনদিনের ছুটিতে দীঘা যাবে। তারই কথোপকথন চলছে। ঘড়িতে সন্ধ্যা সাতটা বাজে। রিক্তা সন্ধ্যার চায়ে মনোনিবেশ করে । চা পান তার ভয়ানক নেশা । চা খেতে খেতেই মনে পড়ে ইলেকট্রিক কেটলি টা অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে । হোটেলের চা খেয়ে পোষাবে না। প্রতিবার বেড়াতে গেলেই সবার আগেই এই কেটলি আর টি ব্যাগ নিতে হবেই তার। মা বলতে থাকে, ” আরে যাবি তো সামনের মাসে , এখন থেকে গোছানো কেন? ”
রিক্তাকে যখন গোছানো তে পায় তখন সে গোছাতে থাকে অবিরাম । প্রথমে লাগেজ ব্যাগ সিলেকশন , তারপর হুক লাগানো দড়ি,তারপর চটি, এবং ব্রাশ টুথপেস্ট বডি ওয়াশ , ফেস ওয়াশ ব্লা ব্লা ব্লা___
এখন সুপ্রতীক থাকলেই বলত ,” তোমার গোছানো আর শেষ হবেনা।” সত্যিই তো কিছুই গোছানো হলোনা । সময় চলে গেল মিছিমিছি _
মনখারাপ হলেই তারস্বরে গান চালিয়ে দেওয়া তার এক বিকট স্বভাব। মা ক্ষেপে যায় হঠাৎ। চিৎকার করে বলতে থাকেন, ” ওরে চাতাল তোর চা ঠান্ডা হয়ে গেল যে _”
রূপম ইসলাম আর মা মিলেমিশে একাকার __