গদ্যের পোডিয়ামে সোমা মুখার্জী বাবলি – ধারাবাহিক – (পর্ব – ৩)

লাইফ লেজা্র
চিরন্তন সেই প্রশ্ন, “বাড়িতে কে থাকবে?”
মায়ের সাথে ঘুরতে যাবার প্রথম অন্তরায় এই বাড়ি । বাড়ি ছেড়ে থাকতে মা একদম চাননা।
তাই অনেক ঘুরতে যাওয়াই ভেস্তে যায় আজকাল। খুব সত্যি কথা , এদিকে ফাঁকা বাড়ি থাকলেই চুরির উপদ্রব ।তাই কথা মাঝপথে থেমে যায় যথারীতি।
একদিন কেটে যায় নিত্য নৈমিত্তিক।পরদিন বিকেলবেলা রিক্তা পৌঁছায় চাপাডালি, টিকিট কাটতে । যাওয়া আসার টিকিট কনফার্ম হয়ে যাবার পর ফোন করে বিদিশাকে। বুঝলি সকাল ৭ টার বাসে যাওয়া ,আর ওখান থেকে দুপুর ১২.৩০ এ ফেরা। বিদিশা সম্মতি জানায় । এরপর দিন গোনার পালা । কাউন্টডাউন শুরু। পরিশেষে উপস্থিত হয় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
পাড়ার এক টোটো ভাইকে সকাল বেলার বাস ধরার জন্য বুক করে রিক্তা । কিন্তু বিদিশার কথামত পরে ক্যানসেল করে তাকে । বিদিশা জানায় ওর গাড়ি নিয়ে আসবে, ওকে তুলতে।
তারপর আগের দিন শুরু হয় ফাইনাল প্যাকিং। একখানি বিছানার চাদর নেওয়া মাস্ট। আর এসি ঘরে থাকার দরুন একখানি গায়ের চাদর । দুদিনের জন্য যাওয়া তো তাই দুসেট জামা কাপড়। আর বাকি তো আগেই গুছিয়ে রাখা ছিল ।
চিরকাল ঘুরতে যাবার আগের দিন রাতে হাল্কা খাবার খাওয়ার রীতি রিক্তা দের বাড়ি , সেই বাবার সময় থেকেই।
হাল্কা মাছের ঝোল ভাত খেয়ে ঘড়িতে ৪ টের এলার্ম সেট করে শুয়ে পড়ে সে । আর মনে মনে ভাবতে থাকে কিছু নিতে ভুলে গেল নাতো !