পাখিটাও
মাটির উঠানে ধান শালিক এসে বসলে
শব্দ গুলো জাগে ;
জাগে ভাষা , একতারার সুর …
মাধুকরি করতে আসা গোঁসাই শুনিয়ে যায় পদাবলী;
একটু একটু করে সকালের রোদ্দুর উঠান পেরিয়ে
ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতর;
যেখানে সাজানো থাকে মায়ের হাতের তৈরি
আচার সকল;
মায়ের ভাষা রপ্ত করে নিয়েছে পোষা পাখিটাও;
আর আমরা সুনিপুণ ভাবে তাকিয়ে থাকি
এক কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ;
উঠান থেকে বেরিয়ে লাল মোরামের রাস্তা;
সেখান থেকে দেখা যায় টিলা-জীবন,
রাঙা পলাশ ;
আজ বেশ কয়েক মুঠো পলাশ ফুল কুড়িয়ে আনলাম
আমার মায়ের জন্য,
আমার মায়ের ভাষার জন্য;
আবাদি জমি থেকে অনেক দিন আগেই
নাড়া কেটে নিয়ে গেছে দেহাতি বউ;
সেও কিছু শব্দ রেখে দিয়ে গেছে নরম হৃদয়ে;
একটু একটু করে জন্ম নিচ্ছে মাদি ঘাস;
গোঁসাই কি সে খবর জানে !
পোষা পাখিটাও প্রতি দিন উড়ে গিয়ে বসে
বাড়ির পাশের বুড়ো আম গাছে ;
সেখান থেকে ডাকে – মা … মা…
আমার ভাষা , বাংলা ভাষা , আমার মা ।