কবিতা সিরিজে সুপ্রভাত মেট্যা

১| আজ একটা কবিতার জন্ম হল

আজ একটা কবিতার জন্ম হল।
শ্রাবণ জলে ধুয়ে গেল পাতা ।
কথা বলে ওঠা সকালবেলার মুখ ভেসে উঠল পথে। ধুলো শেষের ম্লান আভা , কাদা হয়ে উঠলে , উঠোনময়, বালকের পায়ে পায়ে খেলে ।
এখন একটা স্রোত , আর সংলাপের গল্প মুঠো মেয়ে আমার পায়ের কাছে এসে বসে।
মুখ তুলে চায় ।আর আমার সদ্য জন্ম হওয়া কবিতাটিকে কোলে নিয়ে আদর করে খুব !

২| সংগ্রহপ্রবন

ভাই শব্দের নরম হাওয়া
এই এখন , ভোর হলে তার রৌদ্র ছুঁয়ে যায়।
কথা ও কবিতায় দূরের স্বপ্ন এসে জাগে।
ঘাসের শিশিরে; লেখায়, আলো ফুটে উঠে, হৃদয় …
এখন ধুলো জন্মের হাওয়া ।
পাখি প্রবল দানার খোঁজে ওড়ে।
আর দৌড় প্রদেশে
ব্যস্ত দুই চোখ , তোমার হাত এবং পা সংগ্রহপ্রবন, ক্রমশ শহর – বড় রাস্তার দিকে চলে যায়!

৩| নাম

বহুদূর ডাক
তোমার নামে শুনেছি এ- পাড়ায়।
আলো দাও, জল দাও তুমি, হাওয়া ….
আর আরোগ্যের ভোগ নিয়ে বিলি করো সুখ।
কথা ও কবিতার মতো সৎ হয়ে উঠলে তুমি
কতটা পবিত্র হয়ে ওঠো সেটাও জেনেছি।
রৌদ্র সুন্দর হও কীভাবে বুঝেছি, তোমাকে দেখে।
শুনেছি বলতে তোমাকে যে,
যে কোনও মানুষেরই নাকি নষ্ট হওয়াটা
একটা মুহূর্তই যথেষ্ট!

৪| হিম শরীর

রোদে পুড়ে, কালো হয়ে যাওয়া –
সেই যে শরীরের ভিতর ক্লান্ত নীরবতা, নুন- নুন ছোপের শাড়ি, বাড়ি ফেরে রোজ সন্ধ্যায় । আমি তাদের লিখি, জেগে ওঠা বলি ; অথচ এইসব বলে যাওয়া রুগ্ন , অনর্গল কথাগুলির পাশে এসে , কখনও দাঁড়ায়নি হেসে কেউ !
আমি দেখি, কারও চলে যাওয়া হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ দূর অন্ধকারে কোথাও । রাত খেটে কয়লা পড়ে যাওয়া বয়স বাড়ছে কারও ।শুধু মাঝেমাঝে ওই কোলকাতাওয়ালা ফর্সা ভূগোল তার গায়ে এসে পড়লেই এখনও শরীরে হিম এসে যায়..

৫| তোর দিকে

কিছু অসুখ তুই বারবার ফিরে পেতে চাস। মন খারাপ করিয়ে , ভালোবাসার দিকে ঝুঁকিয়ে দিস চোখ । তবে কী তুই , শেষ প্রান্তের উত্তরপাড়া পথের ডানদিক দিয়ে পৌঁছে গেছিস প্রেম ? বুকের ওম স্পর্শে ভেতরের গলন প্রক্রিয়াকে ফের চালু করতে চাস, তুই ?
শরতের মেঘ এঁকে ধুয়েছি শ্রাবন মাস আমি দ্যাখ্ ,এই দুটি চোখে। আর তপ্ত দুপুরে, আচারের শিশি থেকে শুঁকে নেওয়া ঘ্রাণের যুবক ,
– এই আমি
জল জিহ্বায় তাকিয়ে থাকি , হ্যাঁ, তোর দিকে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।