• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সুশোভন কাঞ্জিলাল

চৈত্র শেষে

আজ পয়লা বৈশাখ। সদ্য দাদা কে পোড়াতে নিয়ে গেল বাড়ির ছেলেরা। হঠাৎ মাস ছয়েক আগে লাস্ট স্টেজ ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে। চিকিৎসার কোন সুযোগই দিল না।
বৌদি নিজের ঘরে একা শুয়ে শুয়ে কাঁদছে। একটু একা থাকতে চাই ছিল কিন্তু এই অবস্থায় ওকে একা থাকতে দাওয়া ঠিক না।
আমি বৌদির মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম “বৌদি এইভাবে উপুড় হয়ে শুয়ে থেকো না। পেটের বাচ্চাটার ক্ষতি হতে পারে।”
বৌদি উঠে আমায় জড়িয়ে অঝরে কাঁদতে কাঁদতে বলে “আমি তোমার দাদাকে ঠকিয়েছি মনু। আমি প্রেগনেন্ট নই।”
আমি অবিশ্বাসে বললাম “দাদা যে আমায় তোমার প্রেগনেন্সি রিপোর্ট হোয়াটস্যাপ করে ছিল!”
বৌদি ফুঁপিয়ে বলে “রিপোর্টটা ঠিকই কিন্তু ইউরিনটা আমার ছিল না। পাশের বাড়ির সুলতা প্রেগনেন্ট বলে ওর থেকে চেয়ে নিয়ে ছিলাম। তোমার দাদার শেষ ইচ্ছা ছিল যে..”
হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে বৌদি। অমিও চেপে রাখতে পারলাম না কান্না। চৈত্রের সঙ্গে দাদার জীবনের অবসান হলেও পয়লা বৈশাখের মতন এক নব আশার তৃপ্তি নিয়ে গেছে দাদা!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *