এই দোকানই আমাদের স্বপ্নপূরণের মাধ্যম ছিল।বন্ধুরা বনভোজন করতাম এই দোকান থেকে চাল,ডিম,মশলাপাতি কিনে। লজেন্স, চানাচুর আর শোনপাপড়ির মিশ্রিত গন্ধজুড়ে মেতে উঠত ছেলেবেলার আলাপি বিকেল।
দশ বছর পরে সপরিবারে দুর্গাপুজোর প্রসাদ খেতে গিয়ে বিরিঞ্চির দোকানঘরের কাছে থমকে গেলাম। মাটির ঘরের কাবারির কঙ্কাল বুকে শেলবিদ্ধ করল আমার। মর্মাহত হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম,বাবা দোকানের এই হাল কেন? বাবা বললেন, সেই বিরিঞ্চিদাও নেই আর দোকানও নেই।তার ছেলেরা এই বাড়ি বিক্রি করে শহরে গেছে উন্নতির আশায়।
আমি তখনও দাদুর সঙ্গে হাত ধরে বিরিঞ্চির দোকানে যাচ্ছি ছোটবেলার স্মৃতিপথ ধরে।