• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় শর্মিলা ঘোষ

আমিনা

কাঁধে ব্যাগ নিয়ে আমিনা আশ্রমের পথে পা বাড়ালো।পিছনে মা চেঁচামেচি শুরু করেছে।এত বড় মেয়ে তায় তালাক নিয়ে বাপের ঘরে বসে আছে,এখন আবার সমাজ সেবা শুরু করেছে।আমিনা কথায় কান দেয়না।সে একটা NGO সাথে যুক্ত হয়েছে।আজ নববর্ষে সেখানে গৃহহীন ,পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের নিয়ে কিছু অনুষ্ঠান হবে। আজ তার নার্সিং-এ অফ ডে।এই আশ্রমেই তার পরিচয় হয় ইউসুফের সাথে,সেও চাকরি সামলে বাকি সময়টা এইNGO ‘র জন্য দেয়।
আব্বু আমিনা ইউসুফের সম্পর্ক মানলেও মা রাজী নয়।আমিনার হাতটা ব্যাথা হতে শুরু করে,সে একটা ব্যাথার ওষুধ কিনে খায়। বিয়ের পর হাত মুচড়ে তাকে শিক্ষা দেওয়া হতো।
রাত্রি দশটা নাগাদ ঘরে ঢুকেই বড় আব্বা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের জুতো দেখে,ঝড়ের পূর্বাভাস।
বাড়িতে তখন বিচার সভা বসেছে,আব্বু তার পক্ষে হলেও সবার সামনে একটু চুপই থাকে।মা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এ বাড়িতে থেকে সমাজ সেবা করা যাবে না, হাসপাতালের ডিউটি সেরেই বাড়িতে ফিরতে হবে। ইউসুফকে ফোন করে আমিনা।
সামান্য কটা জিনিস গুছিয়ে যখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে পেছনে তখন বিভিন্ন হুমকি। ইউসুফ আমিনার হাতটা শক্ত করে ধরে………তাদের
জীবনযুদ্ধ এখন থেকেই শুরু হয়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।