• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সপ্তর্ষি গাঙ্গুলী

সেরে ওঠো বসুধা

দিনগুলো একরকম বেশ ভালোই কেটে যাচ্ছিল বসুধার ; প্ৰাণসম্ভারে হয়ে ভরপুর। না ছিলো কোনো বেদন ; না কোনো পীড়া। অকস্মাৎ একদিন হৃদয়ে তার হানল আঘাত জটিল এক ব্যারাম। অজানা ব্যারামে ক্লিষ্ট বসুধাকে সিক্ত করে সতেজ করে তুলতে পুরোগামী হল তারই এক সুহৃৎ বারিদবরণ। বসুধার অপর এক সুহৃৎ সমীরণ‌ও সেই সন্দেশ পেয়ে মিত্ৰা বসুধার অজানা ব্যারাম তারণাকাঙ্ক্ষায় পরিমলরূপে তার‌ মধ্যে হল পৃক্ত। কিন্তু মিত্ৰদের সকল প্ৰয়াস ব্যর্থ করে হলো না আর ব্যারাম নিরাময় ; ঘুচলো না বসুধার জীর্ণতা। ধীরে ধীরে তারা উপলব্ধি করতে লাগল বসুধার আসল ব্যারাম মনের। তাই যতদিন না পর্যন্ত বসুধার হৃদপিন্ড ‌এই মানবসমাজের অকেজো প্ৰকোষ্ঠসমূহ — চেতনা, দৃষ্টিকোণ, মানসিকতা আর গ্ৰহণযোগ্যতার রূপান্তর ঘটছে ততদিন হবে না নিরাময় বসুধার দুরারোগ্য এ মন ব্যারাম। নববর্ষে দিগন্তে নবোদিত অরুণালোকের সদাশয় পরশে রূপান্তরের বিপ্লবের মাধ্যমে ঘটবে যখন স্খলিত মানবসমাজের বোধিলাভ ; সুস্থ বসুধার পরিধানে থাকবে না তখন আর এই জীর্ণবসন। ধবলবসনে সেজে উঠে নব্য প্ৰভাতফেরির সুরেই ধরবে বসুধা আবার জীবনের জয়গান।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।