অণুগল্পে সুদীপ ঘোষাল

যদি এমন হত
বিপুলবাবু বিপুল সমস্যায় পড়লেন।কপালে গজিয়ে উঠল মারণরোগের অভিশাপ। ব্যথাটা ক্রমশ ময়ালের মত পাকিয়ে ধরতে লাগল শরীর।
বিপুল লাটাই এর সুতোর মত জীবন গোটাতে থাকেন।
যত এম আই এস ছেলে আর স্ত্রীর নামে লিখে দিলেন। জমিজমা মায় বাড়ি পর্যন্ত লিখে দিলেন।
তারপর আলোর খোঁজে বেড়িয়ে পড়লেন রাস্তায়।
হাঁটতে থাকেন জীবন বরাবর। মুক্ত আকাশে আলোথেরাপি চলতে থাকে নিয়মমাফিক।
বিপুল ডুবে যান ড্যাংগুলি, নবান্ন, ভাদুগান, বোলানগান আর মার্বেল খেলার গভীরে। ঠা ঠা দুপুর, মায়ের লাঠি নিয়ে তাড়া, বাবার বকুনির সংগীতে কমতে থাকে ব্যথাটা।
ডুবে ডুবে আলো খান শিশিরের, গঙ্গাফড়িং এর মত লাফিয়ে চলেন বন থেকে বনান্তরে।
রোজ একা হাঁটেন, হাল্কাচালে, ভুলে যান জীবনের অন্ধকার। আসে আলোর বন্যায় স্মৃতির হুদি।
সমস্ত ধনসম্পত্তির সঙ্গে চলে গেছে কপালের ফোলাভাব। দুবেলা নিশ্চিন্ত হয়ে জীবন গ্রহণ করেন আর আনন্দ পান করেন।
বিপুলবাবু ব্যথাটাকে ইনিংস ডিফিট করে গোটাতে থাকেন স্মৃতির মস্ত লাটাই।