|| কালির আঁচড় পাতা ভরে কালী মেয়ে এলো ঘরে || T3 বিশেষ সংখ্যায় সন্দীপ গাঙ্গুলী

উৎসবের অলিন্দে
রোদের পারে মুখ-ছড়ানো সুখ
রামধনুর সাতরঙের অলিন্দে,
উৎসবের ঝাড়বাতি আজ জৌলুষহীন
ক্লান্ত প্রেমিকের আলস্যের চুম্বনে,
আতস বাজি, পাট ভাঙা পোষাক
চার দেওয়ালের অবসাদে বিলীন,
শিকল বাঁধা সময়ের গহ্বরে
অভিমানি নক্ষত্রের খুনসুটি জোৎস্নার আলেখ্যে,
মুঠো মুঠো স্মৃতি দিয়ে আঁকা ছবি
বর্ণহীন ভবিষ্যতের ইজেলে।
মন্ত্রচ্চারণের জলদ গাম্ভীর্যে
অপেক্ষার অন্তর্লীন আঘাত নামে ঐ হকার যুবকের,
তার নীল আলোর একলা প্রেম
ভেসে যায় ঘর হারানোর খেলায়,
কুয়াশার বৃষ্টি নামে মনের চৌকাঠে
মধ্যরাতে শিশিরের ছোঁয়ায়।
ঝাপসা অ্যালবামে তুলে রাখা দিনের ছবি ক্রমশ দীর্ঘতর হয়,
কঠিন বাস্তবে একাকার
উৎসবের মুখ, পটুয়ার সুখ
প্রদীপের পোড়া সলতের বাস্তবায়নে….
বসন্তে বিলীন
ছেড়ে যাওয়া কিন্তু ভুলে থাকা নয়
ছেড়ে যাওয়া মানে নতুন বন্ধনের অবদ্ধতা
ছেড়ে গেলে রয়ে যাবে আদ্র কিছু মুহূর্ত
কিছু মায়াবী শব্দের অনুরণন হবে
আমার ছেড়ে যাওয়াকে ঘিরে
আমার সমস্ত ভাললাগা
ভাগ হয়ে যাবে অনেকের মধ্যে
গাঙচিলের পিঠে শেষ বিকেলের পিছলে পড়া রোদের মত
আমার ভালবাসাগুলো চুঁইয়ে পরবে নাম না জানা কোন পর্নমোচির পাতায়
হয়তো সমস্ত বন্ধন ছেড়ে মৃত্যুকে মেনে নেওয়ার আগে আর একবার অর্জুন গাছ হব
লাল কৃষ্ণচূড়ার হৃদয়ে হিল্লোল তুলে
চিরবসন্তে মিলিয়ে যাব…