সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সুদীপ ঘোষাল (পর্ব – ৬)

ইউরেকা ইউরেনাস

জঙ্গল আলোময় হয়ে উঠেছে। এখন রাত দুটো বাজে। তারা অন্য গ্রহে গেছিলো প্রায় ছয় ঘন্টা।সবুজ গোল যানের গতিবেগ আলোর গতিবেগের থেকও বেশি –সুমন বললেন।

সবাই দেখলো তিনটে ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে দুজনকে তারা চিনতে পারল।

কিন্তু একজন কে চিনতে পারল না।

তখন গোয়েন্দা সুমন বললেন, ইনি হচ্ছেন আপনার দেখা সেই অন্য গ্রহের জীব ছায়া।
যিনি আমাদের তাদের গ্রহে নিয়ে গেছিলেন। আমরা দেখে এলাম।আমরা বলি এলিয়েন।

সুমনবাবু আরও বললেন বিজ্ঞানের কল্পনার কথা, আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। কেউ বলছেন প্রাণের অস্তিত্ব আছে আর কেউ বলছেন তা কল্পনা মাত্র।বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। তবে এ মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে জুপিটারের একটি চাঁদ ‘ইউরোপা’য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে।তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনো এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা ‘অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী’ হতে পারে।তিনি মনে করেন ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে।
বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা।অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনো প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন: “মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।

এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন।নতুন গ্রহে আসলে প্রাণ থাকতে পারে?অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) পৃথিবীর অদূরেই একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

তোতন বললেন, তাহলে স্যার আমরা তার সাক্ষাৎ দর্শন পেলাম। সুমনবাবু বললেন, গত সোমবার নাসা দাবি করে নতুন ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ‘মাত্র’ ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। পৃথিবীর আকৃতির ওই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই৭০০ডি’। এটি ‘টিওআই৭০০’ নামের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।বিজ্ঞানীরা জানান, টিওআই৭০০ নামের ওই নক্ষত্র ও তাকে প্রদক্ষিণরত তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে টেস। এর মধ্যে টিওআই৭০০ডি নক্ষত্রটিকে এমন দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে, যা ওই সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে দাবি করেছে নাসা।

পরে আপনাকে বলা যাবে এখন উনাকে আমরা বিদায় সম্ভাষণ জানাবো। এলিয়েন সুমন্তবাবুর জ্ঞানের প্রশংসা করলেন। সাইকো বললেন, আপনাদের মত জ্ঞানী লোক এই পৃথবীর সম্পদ।

বৃদ্ধ ভদ্রলোকসহ সকলে অবাক বিস্ময়ে আকাশে দেখল তুবড়ির রোশনাই আর শুভেচ্ছার ভরসা পৃথিবীবাসির আগামী দিনের জন্য।

এরপর সুমন্তবাবু চলে এলেন তোতনকে নিয়ে নিজের বাড়ি। সেখানে তিনি পড়ান বহু বহু ছাত্রছাত্রীকে তারপর আনন্দে সব ছেলেদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলাই তার কাজ।
কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে তারা যাতে বিজ্ঞানমনস্ক পথে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা সবকিছু বুঝতে পারে তার চেষ্টা করে যান তিনি। আজ অনেক ছাত্রছাত্রী এসেছেন তার ঘরে। একজন জিজ্ঞাসা করল, মহাকাশের প্রাণের অস্তিত্ব কি বিশ্বাস করা যায়? তিনি তার বিরাট হল ঘরে তোতন আর ছাত্ররছাত্রীদের নিয়ে বসেন।তিনি বলছেন, টিভির পর্দায় এমন দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি৷ মহাকাশে নীল মরুদ্যানের মতো শোভা পাচ্ছে পৃথিবী৷ তখনই মনে প্রশ্ন জাগে, ‘‘বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র পৃথিবীতেই কি প্রাণের স্পন্দন রয়েছে? নাকি অন্য কোথাও প্রাণের বিকাশ সম্ভব?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গত কয়েক বছরে গবেষণা অনেক বেড়ে গেছে৷ জার্মানির পটসডাম শহরের বিজ্ঞানীরা সদ্য আবিষ্কৃত বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু পরীক্ষা করেন৷ তাঁরা জানতে চান, দূরের এই জগত প্রাণের বিকাশের জন্য কতটা উপযুক্ত? পৃথিবীর সঙ্গে মিল আছে, এমন গ্রহ খোঁজা কেন এত কঠিন? গ্রহ গবেষক ভ্যার্নার ফন ব্লো বলেন, ‘‘এক্সট্রা-সোলার গ্রহ খোঁজার সমস্যা হলো, নক্ষত্রের আলো সংলগ্ন গ্রহের আলোকে পুরোপুরি ম্লান করে দেয়৷ রাতের আকাশে শুধু নক্ষত্রগুলি দেখা যায়, তাদের আশেপাশে গ্রহ থাকলেও সেগুলি দেখা যায় না৷”
তিনি বলেন: “মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।” নতুন গ্ররহ নিয়ে আশা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।