কবিতায় শুভজিৎ দত্তগুপ্ত

আত্মস্থের গান
আমি হাঁটি ধুলো, ধান আর নদীর গন্ধে,
বাংলার বুক জাগে শালিকের ছন্দে।
হঠাৎ বাজে বিদ্রোহের ঢাক,
মানুষ সমান, ক্ষুধা সমান
নেই তাতে কোন ফাঁক।
ধানক্ষেত ভরে জ্যোৎস্নার আলো,
নদীর ঢেউ কাঁদে বাঁধের বুকে বন্ধন তার লাগেনা ভালো।
শহরের পথে জ্বলে নীয়ন-আলো,
শ্রমিক দাঁড়ায় অন্ধকারে, প্রার্থনা নিয়ে অন্ধকার জীবনে আলোক জ্বালো।
আযান মেশে শঙ্খের তানে,
নদী বইছে দেশ দেশান্তরে,
সাথে করে কত কিসসা আনে।
“ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যই রয়”—
তবু কবিতার আগুন ক্ষয় না হয়।
গ্রামের ভাষা শহরে বাঁচে,
নিজেকে গড়ে নেয় শহরের ধাঁচে।
কালি ছুঁয়ে কবিতা গড়ি,
মানুষের মধ্যেও উত্তরে, দক্ষিণে ধরি।
রাত নামিলে প্রদীপ জ্বলে,
পৃথিবী কম একা সেই আলোতলে।