• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে শিপ্রা দে

১| পলাশের অহংকার

ফাগের হাওয়া বইছে ধীরে
পলাশ শিমুল বনে
কৃষ্ণ চূড়ায় বসন্ত দূত
ডাক দিয়েছে মনে।
এমন সময় পলাশ বলে
আমি কতো সুন্দর
শিমুল দেখো কেমন যেন
দেখতে লাগে বান্দর।
পলাশ বলে শিমুলকে “তোর
কোথায় কিসের রূপ
শিমুল শুনে মুচকি হেসে
রইলো বসে চুপ।
গুন নেই তো রূপে বাহার
কিসের অহংকার
আমি তো লাগি ফুলের শেষে
লোকের উপকার।
সময় হলে দেখতে পাবে
পলাশ হবে শেষ
থাকবে তাও শিমুল ফুল
রয়ে যাবে যে রেশ।
আমার গাছে ফুটবে রাশি
নরম কতো তুলো
তবু শিমুল বলছে না যে
শুনছে কথা গুলো।
শোবার কাজে লাগবে তাকে
নরম গদি পাবে
সারা বছর মাথার নীচে
আরাম দিয়ে যাবে।
দুদিনের সে মন ভোলানো
পলাশ ঠোঁটে চুমু
তুলোর মেঘ শান্তিতে যে
দেবে লোকের ঘুমু।
রূপ সুধায় কতক্ষণ
পাবে লোকের মন
গুন থাকলে সবার মাঝে
কদর অণূ ক্ষণ।

২| কবিতা তুমি আছো তাই

কবিতা তুমি আছো তাই মনের কথা কই
একলা দিনে সাথী আমার রাতের বেলা সই।
মনের মাঝে সুখ দুখের ঝাঁপি করি খালি
এই লেখাতে হৃদয়ের আবেগ ব্যাকুলতা ঢালি।
দিবারাত্রি এক করি তোমায় ভালোবেসে
বেঁচে থাকার রসদ জোগাও অক্সিজেন বারোমেসে।
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আগুন জ্বলে বুকে
কলম তখন হাল্কা করে পাতা ভরে সুখে।
ব্যথিত,মথিত,দলিত মন সুতোয় লাগায় টান
সময়ের সাথে গাঁট পড়ে যায় বিনি সুতোর বান।
তোমার কাছেই খুঁজে বেড়াই স্নেহ অনুভূতি
তোমার মাঝেই বেঁচে থাকে স্বজন আপন প্রীতি।
রক্তের সম্পর্ক টিকে থাকুক কাব্য লেখার খাতায়
পাণ্ডুলিপি হয়ে থাকুক মনের প্রতি পাতায়।
প্রেম রসের আস্বাদন ও তোমার কাছেই পাই
কল্পনাতে চায়ের কাপে তাঁরই সাথে হারাই।
তুমি আছো বসন্তও তাই আসে আমার দ্বারে
দখিন দুয়ার আজো খুলে ফাগুন আনি ঘরে।

৩| কান নিয়েছে চিলে

হঠাত্ করেই ছুটছে মেয়ে রাস্তা দিয়ে মাঠে
ছুটতে দেখে পড়শিরা সব জিজ্ঞেস করে তাকে
কি হয়েছে কি হয়েছে আমার সোনা মেয়ে?
বলে না সে ছুটছে তবু জঙ্গল বনে ছেয়ে
হঠাৎ বনে দেখা হলো পাঁচুর সাথে তাঁর
কি হয়েছে সুন্দরী গো,মুখটা কেন ভার!
কান নিয়েছে চিলে আমার বললে কাকী ডেকে
তাইতো আমি ছুটছি পিছে ধরবো চিলটাকে।
কে দেখেছে কে দেখেছে দাদা দেখেছে
দাদার হাতে অস্ত্র ছিল ছুঁড়ে মারে সে।
সোনার বর্ণ মেয়ে টাকে বললে পাঁচু হেসে
ধুর পাগলি কান তো তোর দেখছি মাথায় ঘেঁষে
হাত দিয়ে যেই না দেখে পাঁচু পড়ে ঢলে
ছিঁড়ে নিল কানটা তার দৌড়ে গেল চলে
আপন থেকে পর ভালো বলে যে মা রোজ
তবে কেন আজকে আমার হল এমন বিপদ!
এমন সময় আকাশ থেকে চিল এসেছে উড়ে
পাড়ার পাঁচুর মাথার ওপর ঠুকরে ঠুকরে মারে।
বলল চিল,
ও সোনা মেয়ে শোন রে কথা নিজের বুদ্ধি দিয়ে
চলরে চল এগিয়ে চল মানুষ চিনে নিয়ে।
কে বলল দেখরে তোর কান নিয়েছে চিলে
অমনি আর ছুটিস নাকো মরিস না আর ঢিলে।
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে কেন হোস রে বরবাদ
সত্যি মিথ্যা যাচাই করে দেখরে হবি আবাদ।

৪| কান নিয়েছে চিলে

হঠাত্ করেই ছুটছে মেয়ে রাস্তা দিয়ে মাঠে
ছুটতে দেখে পড়শিরা সব জিজ্ঞেস করে তাকে
কি হয়েছে কি হয়েছে আমার সোনা মেয়ে?
বলে না সে ছুটছে তবু জঙ্গল বনে ছেয়ে
হঠাৎ বনে দেখা হলো পাঁচুর সাথে তাঁর
কি হয়েছে সুন্দরী গো,মুখটা কেন ভার!
কান নিয়েছে চিলে আমার বললে কাকী ডেকে
তাইতো আমি ছুটছি পিছে ধরবো চিলটাকে।
কে দেখেছে কে দেখেছে দাদা দেখেছে
দাদার হাতে অস্ত্র ছিল ছুঁড়ে মারে সে।
সোনার বর্ণ মেয়ে টাকে বললে পাঁচু হেসে
ধুর পাগলি কান তো তোর দেখছি মাথায় ঘেঁষে
হাত দিয়ে যেই না দেখে পাঁচু পড়ে ঢলে
ছিঁড়ে নিল কানটা তার দৌড়ে গেল চলে
আপন থেকে পর ভালো বলে যে মা রোজ
তবে কেন আজকে আমার হল এমন বিপদ!
এমন সময় আকাশ থেকে চিল এসেছে উড়ে
পাড়ার পাঁচুর মাথার ওপর ঠুকরে ঠুকরে মারে।
বলল চিল,
ও সোনা মেয়ে শোন রে কথা নিজের বুদ্ধি দিয়ে
চলরে চল এগিয়ে চল মানুষ চিনে নিয়ে।
কে বলল দেখরে তোর কান নিয়েছে চিলে
অমনি আর ছুটিস নাকো মরিস না আর ঢিলে।
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে কেন হোস রে বরবাদ
সত্যি মিথ্যা যাচাই করে দেখরে হবি আবাদ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।