• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে শিপ্রা দে

১| ফাগুন বনে অগ্নিশিখা

হাজার ফুলের রঙিন পাপড়ি
অখিল ভুবন মাঝে
রঙিন ডানায় প্রজাপতি
নতুন করে সাজে।
বৃক্ষ বৃক্ষে কিশলয়ে
সবুজ প্রাণে ফোটে
পুঞ্জ পুঞ্জ ভোমরা অলি
কুঞ্জবনে ছোটে।
ক্ষণে ক্ষণে কোকিল কূজন
কুহু কুহু সুখে
অরণ্যের ঐ অগ্নি শিখা
জ্বলছে বনের বুকে ।
আম্রমুকুল সুবাস ছড়ায়
ভোমরা মারে উঁকি
অলস তপন তেজ দেখিয়ে
নিয়েছে আজ ঝুঁকি।
বসন্ত বায় পুলক জাগায়
দখিন বাতায়নে
প্রেমের নেশা হাজার রঙে
জাগল প্রেমিক মনে।
ফাগুনের রং লাগলো বনে
অশোকে কিংশুকে
সেই ফাগুনে আগুন ছিল
মন পুড়েছে সুখে।
পুড়ছি যত মরছি তত
কৃষ্ণচূড়ার ডাকে
রাধাচূড়া আড়াল করে
ঝরা পাতা ঢাকে।

২| দ্বিতীয়ার চাঁদ

দ্বিতীয়ার চাঁদ আজ কাস্তের রূপ ধরে
ধীরে ধীরে ক্ষত পরে প্রলেপের রঙ চড়ে ।
ছাদঘরে হাহাকার
ছায়াপথ জোছনার
উঠোনের চাঁদ হাসে বেলি ফুল দেয় উঁকি
বোধহয় কম হোলো মরণের বিষ ঝুঁকি।
বারান্দা চেয়ে দেখে পুষ্পের মলিনতা
ফিরে পাক জুঁই বেলি নোনা জলে শুদ্ধতা।
জল চাই কেউ নাই নিজেরাই বাহাদুর
কেউ ঝাড়ু সামলায় কেউ হাতে নে মাদুর।
ঝপাঝপ কাজ সারা
নেই আজ কোনো তাড়া
উড়ো কাক এসে বসে জানালার ফাঁকটায়
পথিকের আড়চোখ শার্সিতে আটকায়।
সোজাসুজি বোঝাবুঝি তিনজন ঘরে সেই
সাদামাটা রান্নার ঝামেলায় পড়া নেই।
বাহিরের পানে ওই শোনা যায় ফিসফাস
স্বজনের আফশোস করে যায় হাহুতাশ।
চিত্তের তরলতা
নিরুপায় ব্যাকুলতা।
প্রতিপদে পলে পলে বড়ো কথা লড়াটাই
সব কিছু পিছে ফেলে নিজ কাজ করাটাই।
খেতে হবে ফল,দুধ,জল আর মেডিসিন
মরে মরে বেঁচে ওঠা ক্ষণে ক্ষণে প্রতিদিন।
সব থেকে বড় কথা নিজে ঠিক থাকাটাই
তার সাথে দুজনের দেখাশোনা রাখাটাই।
চাপাঝড় ধুকপুক
প্রদীপের জ্বলে বুক।
মেঘ থাক দেওয়ালে রোদ টুকু ধরে রই
বৈশাখী নিশুতির চুপ কথা শোনো ওই।
কারসাজি কিছু নয় মনটাই বাজিমাত
তারপর পিঠে হাত ক্যায়াবাত ক্যায়াবাত ।
টেবিলের এক কোণে ওষুধের কারখানা
খাবারের রুচি নেই বিস্বাদে জিভখানা।
শরীরের বল নেই
মুখে তবু উফ নেই
ভেতরের মন ঘরে ফল্গুর ধারা বয়
চোখাচোখি হোলো যেই কি দারুণ অভিনয়।
সারাদিন অমলের আরামের পালঙ্ক
অভিমানী ছোঁয়া লাগে অনুভূতি আতঙ্ক।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *