দ্বিতীয়ার চাঁদ আজ কাস্তের রূপ ধরে
ধীরে ধীরে ক্ষত পরে প্রলেপের রঙ চড়ে ।
ছাদঘরে হাহাকার
ছায়াপথ জোছনার
উঠোনের চাঁদ হাসে বেলি ফুল দেয় উঁকি
বোধহয় কম হোলো মরণের বিষ ঝুঁকি।
বারান্দা চেয়ে দেখে পুষ্পের মলিনতা
ফিরে পাক জুঁই বেলি নোনা জলে শুদ্ধতা।
জল চাই কেউ নাই নিজেরাই বাহাদুর
কেউ ঝাড়ু সামলায় কেউ হাতে নে মাদুর।
ঝপাঝপ কাজ সারা
নেই আজ কোনো তাড়া
উড়ো কাক এসে বসে জানালার ফাঁকটায়
পথিকের আড়চোখ শার্সিতে আটকায়।
সোজাসুজি বোঝাবুঝি তিনজন ঘরে সেই
সাদামাটা রান্নার ঝামেলায় পড়া নেই।
বাহিরের পানে ওই শোনা যায় ফিসফাস
স্বজনের আফশোস করে যায় হাহুতাশ।
চিত্তের তরলতা
নিরুপায় ব্যাকুলতা।
প্রতিপদে পলে পলে বড়ো কথা লড়াটাই
সব কিছু পিছে ফেলে নিজ কাজ করাটাই।
খেতে হবে ফল,দুধ,জল আর মেডিসিন
মরে মরে বেঁচে ওঠা ক্ষণে ক্ষণে প্রতিদিন।
সব থেকে বড় কথা নিজে ঠিক থাকাটাই
তার সাথে দুজনের দেখাশোনা রাখাটাই।
চাপাঝড় ধুকপুক
প্রদীপের জ্বলে বুক।
মেঘ থাক দেওয়ালে রোদ টুকু ধরে রই
বৈশাখী নিশুতির চুপ কথা শোনো ওই।
কারসাজি কিছু নয় মনটাই বাজিমাত
তারপর পিঠে হাত ক্যায়াবাত ক্যায়াবাত ।