• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সুখেন্দু দাস

…এবং আমরা কয়েকজন

জীবনের জন্য তারা একসাথে শুতে যেত। সারাদিনের হাড়হিম খাটুনির পর একটু-শান্তির-জন্য তারা জড়িয়ে ধরত একে-অপরকে। রাতের অন্ধকারে মায়াবী শহরের অন্ধ-গলির মাঝে ঝুপড়িবাসী-মানুষগুলোকে দেখাত অ-শরীরীর মতন। তবু দিনের শেষে তাদের শান্তি ছিল। মদ আর মেয়েছেলে ছিল নেশার জন্য। দুমুঠো-ভাত আর একরাশ-গালি ছিল বাঁচার জন্য। সব ঠিকই যাচ্ছিল, শুধু বিপদ ঘটল সেই-দিন, যেদিন তাদের দলে সত্যি ঢুকল এক অ-শরীরী।
চলল রটনা। ছেলেরা বলে রাত হলেই অ-শরীরী নাকি তাদের জড়িয়ে ধরে। মেয়েছেলেরা বলে তাদের শাড়ির ভিতরে, ব্লাউজের ভিতরে কারণে অ-কারণে ঢুকে পড়ে এই নচ্ছার। পাড়ার দাদাকে জানানো হল। ওঝা এল। উপঢৌকন পড়ল প্রচুর। তারপর সব শান্ত। সবাই বলল, দাদারা বাঁচিয়ে দিলেন!
কিন্তু আসল বিপদটা ঘটল সেদিন যেদিন সত্যি অ-শরীরী হাজির হল শরীর নিয়ে। ধর্ষিত হল বাচ্চা মেয়েরা, কিশোরীদের দেহ লুঠ হল, বিবাহিতদের শাড়ি উড়ল আকাশে। এল এক হাড়-হিম-করা তদন্ত কমিশন। কমিশন রিপোর্টে জানাল, অ-শরীরী বলে কিছু নেই, সব মনগড়া, ওদের কারসাজি-ধাপ্পাবাজি …
… ‘রাতের অন্ধকারে নাবালিকা ধর্ষিত’। কেউ দেখেনি। দেখেছে শুধু সংবাদপত্র…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *