আমাদের এখন প্রায় কথাই হয়না সারাদিনে। একে অন্যের মুখের দিকে তাকাতেও ভুলে যাই মাঝে মাঝে। খেতে বসে পাওয়ার কাট্ হলেও মোবাইলগুলোর ব্যাটারি শেষ হয়না অদ্ভুত ভাবে, কিন্তু ওরা?
ওদের হাঁড়ির খবর থেকে পাজামার পায়ের সেলাই পর্যন্ত নখদর্পনে থাকে একে অন্যের। ব্যাস্ত চা’য়ের কাপ হোক বা অবিন্যস্ত ধূমপাত্র – ওদের জুড়ি মেলা ভার।
আসলে আত্মীকতা কখনও কমে না ওটা হাতের নখ আর মাথার চুলের মতো বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে শুধু দেওয়াল গড়ি আমরা, ঘটা করে ভিত পুজো করে ইমারত গড়ি আমরা আর নিজস্বতা ভুলে গা ভাসাই বারোয়ারীতত্ত্বে। আমরা মহান তাই আমাদের ব্যক্তিগত কিছুই প্রায় নেই। আমরা ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছি দিনের পর দিন তাই মহাধূমধাম করে কিছু একটা করতে পারলেই ব্যাস – আমাদের পায় কে!
ব্যাক্তিগত কথা গুলো কেমন যেন ঠোঁট হারিয়ে তর্জনি আর বুড়োআঙুলে বাসা বেঁধেছে আর আমরা কেমন যেন প্রাসাদ প্রমান ইমারত হয়ে উঠছি। গায়ের গন্ধগুলো ভুলে গিয়ে মেসেজ বক্সের থিমগুলো বেশি মনে করি আজকাল তাই কথায় কথায় ভালোবাসার দর মাপি, “তুমি এত ভালোবাসো আমায়!”, ” আজকাল তো ভুলেই গ্যাছো”,”আমার সবকিছু তো তুমিই”, জাতীয় শব্দগুলো ঘোরাঘুরি করে শুধু ইনবক্স, চ্যাটবক্স আর টেক্সট-এ তাই কবিতা ছুটি নিয়েছে বহুকাল। আমরা ভাবতে ভুলে যাচ্ছি রোজ, আমরা বাঁচতে ভুলে যাচ্ছি রোজ আর কবিতা! তার কথা প্রথমেই বলেছি আমার সাথে মুখ দেখাদেখিও হচ্ছে না রোজ।