একদিন খুব ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গেল। বাইরের নরম হাওয়ায় নিজেকে দাঁড়করিয়ে ভাবতে লাগলাম এ কোন জন্মে বেঁচে আছি আমরা! আবার ভাবলাম জন্মের আর এখন তখন কী হয়! জন্ম তো একটাই। একটাই জন্মের এত জোয়াল টেনে টেনে আমরা রোজ কাব্য উপন্যস পড়ছি, লিখছি তারপর একটু পুরোনো হলেই ঝালমুড়ির ঠোঙা বানিয়ে নিচ্ছি অবহেলার বশে।
নরম রোদ্দুরটা একটু একটু আমার দিকে এগিয়ে আসতেই মনে পড়লো হাতে আরও একটু সময় আছে নিজেকে প্রকৃতির বুকে এলিয়ে দেবার। কিন্তু কী করবো! আমার যে ভাবতে ভালো লাগেনা। একবার ভাবলাম পড়ে ফেলি কিছু একটা- আবার ভাবলাম প্রকৃতিকে অবহেলা করে কী লাভ তার চেয়ে বরং থেকে ওঁর কাছে আরও কিছুটা সময়। অবলীলায় আমার লেখক – লেখিকাদের কথা চলে এলো মননে। প্রথমেই যেটা ভাবালো তা হলো আমার নতুন সেগমেন্টটা, রবিবারে রবি-বার। লিখছেন মৃদুল শ্রীমানী। দাদার সাথে মাঝে মাঝে কথা হয় ফোনে, বাবা এবং শাক্যর পর আমার রবীন্দ্রভাবনাকে প্ররোচিত করার পেছনে ওনার হাতটা বেশ বড়োই। দাদা বেশ কথা বলেন, যেমন লেখেনও। অন্যদিকে রয়েছেন শ্রীতন্বী চক্রবর্তী মানে পাঁচফোড়নে এখন যে থিয়েটার লেখাগুলো শত ব্যস্ততার মধ্যেও যোগান দিয়ে চলেছেন। রাজশ্রী দির কথা বলতেই হবে। ওনার হাঁড়ির খবর এখন বেশ একটা আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। নিন্দুকরা বলছেন সাহিত্য পত্রিকায় এমন উদ্যোগ আগে তেমন দেখা যায়নি। যাই হোক এসব ভাবতে ভাবতেই সাজিয়ে নিলাম আজকের আবদারের প্রকাশে কারা কারা থাকবেন। তাহলে এবার দেখেই নিই, কে কে কী কী দিলেন আজকের সাজিতে।
আরও যেটা বলার ছিলো তা হলো নতুন একটা সেগমেন্ট শুরু করছি আজকেই, *অনুকল্পে অনুগল্প*, অনুুগল্পের সেগমেন্ট। প্রথমটা লিখছে একটা অপটু কলম, অপটু হাত- ধরিত্রী। ওর সাথেও আলাপ করাবো একদিন। তোমারাও পাঠিও তোমাদের অনুগল্প, ১০০ শব্দের মধ্যে। আর পড়ে জানাতে ভুলো না, কেমন লাগলো তোমাদের।