সমীপেষু

একটা একটা করে দিন পেরোতেই থাকছে আর আলগা হতে থাকছে সম্পর্কের সুঁতোগুলো।
সম্পর্কে শব্দটা বানানটার মতোই কঠিন আর ততোধিক কঠিন হলো আগলে রাখা।
বান্ডিল করা সুঁতোগুলোর কোনো একটা খাইতে টান পড়লেই গুটিয়ে যায় বাকিগুলোর পরিধি। অদ্ভুত একটা বিষয়ই বটে! তবে সবকটা সুঁতোর দায়ভার কিন্তু দু’প্রান্তে থাকা দুজনেরই। কে কাকে কতটা ছাড় দেবে বা গোটাবে তা তাদেরই বিচার্য বিষয় যেটা কখনই তারা একসাথে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে উঠতে পারেনা। সঠিক বা বেঠিক পরিস্থিতি যেমনই হোক সিদ্ধান্ত নিতে হয় তখনই যখন প্রয়োজন। আসলে সঠিক প্রয়োজনটাই আসল প্রয়োজনীয় বস্তু যা সকলকে সকলের মুখোশহীন মুখটা দেখায়। সেই মুখে ক’টা কালো দাগ বা স্মাইল লাইন সেটাও ওই সাময়িক প্রয়োজনটাই বুঝিয়ে দেয়। তবে এই বোঝাগুলো বোঝা তখনই হয় যখন অপ্রত্যাশিত ঘটনার রেশ পরে মনে এবং মানবমন ভাবতে থাকে ভাবতেই থাকে এবং ভাবতে থাকে।
সম্পর্কের সুঁতোগুলো দামি বা কমদামি হোক, রঙিন বা সাদা যাই হোক সম্পর্ক সম্পর্কই। তা সামলে রাখা যতটা জরুরি ততটাই জরুরি বিশ্বাস রাখা প্রত্যেকটা মুখ এবং মুখোশের ওপর। দিনের শেষে দীন যখন ভিক্ষাপাত্র হাতে ঘরে ফেরে তখন পাত্রের ভিক্ষায় বিভেদ চলেনা, চলেনা দামাদামি। থাকে শুধু তুমি আর সে, ভিক্ষুক আর ভীক্ষা।
সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম