সেই বসন্তে একটা গুমনাম হাওয়া উড়িয়েছিল চুলে লেগে থাকা শেষ অভ্রকুচি
গুঞ্জরন ভাঙা এক অকাল প্লাবন গুঁড়োগুঁড়ো ধুয়েছিল মরচে ধরা মনের মিনার
শীতের পরশ যখন ঢেকেছিল পাইনবন আর ঝরে পরা তুষার মুছেছিল পথের নিশানা
এক টুকরো ঝিকমিকে অভ্ররোদ পিছলে পরেছিল বরফের গায়ে আর সেখানেই
অবাক ফুটেছিল বাগানের শেষ টি উলিপ কুঁড়ি …
আমি কিন্তু অমলকান্তি হতে চাইনি তবু হাত পেতেছিলাম এককুচি অভ্ররোদ্দুরের
কাছে,হয়ত শাম্বের মত মুছতে চেয়েছিলাম অতীতের কুষ্ঠদাগ
হৃদয়ের আকুল আর্তিময় বেদনায় লিখতে চেয়েছিলাম সুর্যস্নাত এক ন্যারেটিভ…
তুমি ফেরাওনা কাউকে…
সারাদিন পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের মনমন্দির প্রাঙ্গনে অনন্তচেতনার রশ্মি
ঢালার পর তুমি বিশ্রামে যাও …দিকচক্রবালে ফুটে ওঠে এক অলৌকিক বৈরাগী আলো
দিগন্তপ্লাবিত সেই অভ্রভেদী উষ্ণতায় প্রতিটি পাখীমানুষ ফিরে যায় আপন আপন আনন্দকূলায়…