“এই শ্রাবণে আষাঢ়ে গপ্পো” বিশেষ সংখ্যায় সুধাংশু চক্রবর্তী

আলোর বলয় 

ভাড়া নেবার জন্য হন্যে হয়ে একটা বাড়ি খুঁজছিলাম । এতো করে খুঁজেও যখন কোথাও পাচ্ছি না, তখনই কে যেন কানের কাছে ফিসফিস করে বললো, চিন্তা করছেন কেন সুদীপদা ? আমি আছি না ?
চমকে উঠলাম । আমার নাম জানলো কীকরে ! শুধোলাম, কে তুমি ?
– আমাকে নিয়ে না ভাবলেও হবে । ভালো ছাড়া, আপনার কোনো মন্দ করবো না সুদীপদা । আসুন আমার সঙ্গে ।
আমার তখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে । সাহস করে হাঁটতে থাকলাম তারই নির্দেশ মতো । হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি দেখে, অদৃশ্য মানুষটা রাস্তা ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে দূরের একটা জায়গাকে কাছে টেনে এনে বললো, আমরা এসে গেছি দাদা । তাকিয়ে দেখি, চোখের সামনেই সুন্দর এবং বিশাল একটা বাড়ি । সেই অদৃশ্য মানুষটা মুখেই শুনলাম, বাড়ির মালিক নাকি বিদেশে থাকেন । কেয়ারটেকারের ওপর বাড়ির ভার দিয়ে গেছেন ।
কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলে খুব সস্তায় রফা হয়ে গেল । স্বপ্নেও ভাবিনি এতো সস্তায় সুন্দর একটা বাড়ি ভাড়া পেয়ে যাবো । পরদিন সকালেই ফ্যামিলি নিয়ে এসে উঠলাম নতুন ভাড়াবাড়িতে । গোছগাছের পিছনে অনেকটাই সময় ব্যয় করতে হলো । সেদিন আর অফিসে গেলাম না । প্রথম রাতটা নিশ্চিন্তেই কেটে গেল । পরদিন অফিসে যাবার সময় স্বপ্নেও ভাবিনি, নতুন বাসায় সুখে কাটানো দিন যে নিমেষেই বদলে যাবে দুঃস্বপ্নের রাতে ।
আজ বিকেল থেকেই আকাশের মুখ ভার হয়ে আছে । সন্ধ্যে নাগাদ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো । বৃষ্টি ভেঙে বাড়ি এসে দেখি, স্ত্রী অহল্যা, চোখের জল মুছতে মুছতে এসে দরজা খুলে দিয়েই, কান্নায় ভেঙে পড়লো । কিছুতেই থামাতে পারছি না তাঁকে । অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে অহল্যা যা যা বলে গেল, সেসব শুনে আমি একেবারে জমে পাথর হয়ে গেলাম ।
অহল্যা সম্পূর্ণ ঘটনাটা ধারাবিবরণীর মতো বলে গেল আমাকে । সন্ধ্যের পর মেয়ে বাবলিকে পড়তে বসিয়েছিলো । মেয়েটা সবে একটা বইয়ের পাতা উলটেছে, অমনি একটা কালো হুলোবিড়াল, জানালায় মুখ বাড়িয়ে দিয়ে আচমকা ‘মিয়াঁও’ করে ডেকে উঠেছিলো । বাবলি তাতেই ভয় পেয়ে, অহল্যাকে জড়িয়ে ধরেছিলো । হুলোটা এরপর যেই ‘মিয়াঁও’ বলে ডেকে উঠেছিলো, অমনি লোডসেডিং হয়ে গেছিলো । অহল্যা দ্রুত উঠে অন্ধকার হাতড়ে, মোমবাতি জ্বালতে যেতেই, কালো হুলোটা, এক লাফে ঘরে ঢুকে এসে একেবারে বাবলির মুখোমুখি বসে পড়েছিলো । হুলোটাকে অন্ধকারে দেখা না গেলেও, চোখের সামনে দুটো সবুজ আলো দপ্‌ করে জ্বলে ওঠায়, বাবলি ‘ও মাগো’ বলে চিৎকার করে উঠেই পুরোপুরি চুপ করে গেছিলো ।
মোমবাতি জ্বালতে জ্বালতেই অহল্যা দেখেছে, অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে দুটো সবুজ চোখ । মোমবাতি জ্বালানোর পর দেখে, বাবলি ঘরে নেই ! কালো বিড়ালটাও উধাও ! খোঁজ–খোঁজ-খোঁজ… তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে কোথাও পেলো না যখন, ওর হাতে তখন কান্না ছাড়া আর কিছুই অবশেষ ছিলো না । কাঁদতে কাঁদতে অপেক্ষা করছিলো আমার ফিরে আসার পথ চেয়ে ।
দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে, আমিও গোটা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজলাম । কিন্তু বাবলিকে কথাও পেলাম না ! হতাশ হয়ে কি করবো ভাবছি, সহসা খাটের তলা থেকে কিছু একটা বস্তু আওয়াজ করে ওঠায়, ঝুঁকে খাটের তলায় উঁকি দিয়ে যা দেখলাম, তাতে আমার হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হবার উপক্রম হলো । বাবলি ! ওর চোখ দুটো থেকে যেন আগুনের গোলা বেরোচ্ছে ! আমাকে দেখেই, বাবলি করুণ গলায় বলে উঠলো, আমার খুব ভয় করছে বাবা । ওই কালো বিড়ালটা না… তুমি এখুনি আমাকে উদ্ধার করো এর হাত থেকে ।
কিছু জবাব দেবার আগেই অহল্যা ছুটে এসে আমাকে বাধা দিয়ে, কান্নাভেজা গলায় বলে উঠলো, তুমি ঢুকবে না খাটের তলায় । নিশ্চয়ই কোনো ভূত চেপেছে বাবলির কাঁধে । তুমি এখুনি গিয়ে একজন ওঝা ডেকে নিয়ে এসো ।
শুনে ঘাবড়ে গিয়ে পিছু হটে এলাম দেখে, অহল্যা আর্তনাদের সুরে বলে উঠলো, চমকে উঠলে কেন ? ভূতটুত দেখেছো নাকি ? হায়-হায়, আমাদের মেয়েটা যে শেষমেশ ভূতের হাতে বেঘোরে প্রাণ দেবে গো !
বাবলির কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে, অহল্যার কথায় কান না দিয়ে, খাটের তলায় ঢুকতে যাচ্ছি যখন, সেই অদৃশ্য মানুষটার গলা তখনই বেজে উঠলো আমার কানের পাশে, চিন্তা করবেন না সুদীপদা । আমি আছি না ।
বাড়িটা খুঁজে দেবার পর থেকে, অদৃশ্য মানুষটাকে, কেন জানি না খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে আমার । আজও তার ওপর ভরসা করে, অহল্যাকে স্বান্তনা দিয়ে বললাম, বাবলিকে নিয়ে খামোখা চিন্তা কোরো না তুমি । দেখোই না কি হয় ।
অহল্যাকে স্বান্তনা দিলেও, আমার মনের ভিতর দুশ্চিন্তার ঝড় বয়ে চলেছে যখন, সেই গলাটা তখনই আবার বেজে উঠলো আমার কানের পাশে, এই বাড়ির ডান দিকের একেবারে শেষের ঘরের এক কোণে পড়ে আছে একটা কালো ভাঙ্গাচোরা টেবিল । ওই টেবিলের ড্রয়ারে পেয়ে যাবেন একটা লাল সুতোর গোলা । ওই গোলার লাল সুতোর ফাঁস বানিয়ে ছুঁড়ে দিন আপনার মেয়ের দিকে । দেখুন না তারপর কি হয় ।
আমিও সময় নষ্ট না করে ছুটলাম ওই ঘরে । অদৃশ্য মানুষটা যা যা বলেছে, অক্ষরে অক্ষরে মিলেও গেল । পেয়ে গেলাম ভাঙ্গাচোরা একটা টেবিল । টেবিলের ড্রয়ারেও পেয়ে গেলাম একটা লাল সুতোর গোলা । সুতোর গোলাটা নিয়ে ফিরে এলাম এই ঘরে । তারপরই ঘটলো সেই অদ্ভুত কাণ্ড ! লাল সুতোর ফাঁস বানিয়ে, সেই ফাঁস বাবলির দিকে ছুঁড়তেই, বাবলির শরীর থেকে একটা কালো বিড়াল বেরিয়ে এসে, এক লাফে সোজা বাইরের অন্ধকারে । বাবলিও জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লো খাটের তলায় ।
চোখের সামনে এতোকিছু ঘটে যেতে দেখে, অহল্যা কাঁদোকাঁদো গলায় বললো, এটা নিশ্চয়ই ভুতুড়ে বাড়ি ! তাই হয়তো, এতো কম টাকায় ভাড়া দিয়েছে আমাদের । আমি কিছুতেই থাকবো না এই বাড়িতে । তুমি কাল সকালেই বেরোবে বাড়ির খোঁজে । বাড়ির খোঁজ নিয়ে তবেই ফিরবে । দু-দিনের মধ্যেই এই বাড়ি ছেড়ে যাবো আমরা । যদি না পারো, তাহলে বাবলিকে নিয়ে কালই চলে যাবো আমার বাপের বাড়ি ।
চোখেমুখে জলের ছিটে দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে এনে, বাবলিকে কোলে নিয়ে শোবার ঘরে চলে গেল অহল্যা । বাবলি এখনো বেশ ঘোরের মধ্যে আছে । আমি জানি, অহল্যা ওকে গরম দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে । বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম । অহল্যার কথা না শুনলে, ও যা যা বলেছে করেই দেখাবে । কিছুতেই আটোকানো যাবে না ওকে । অগত্যা সোফায় বসে কি করি কি করি ভাবছি যখন, অদৃশ্য মানুষটা তখনই আবার আমার কানে পাশে বলে উঠলো, খামোখা চিন্তা করছেন সুদীপদা । আমি আছি না ? আপনারা এখানেই থাকুন । কেলোর ভূত কেন, ওর বাবারও সাহস হবে না, আবার এসে আপনাদের বিরক্ত করে ।
বললাম, কি করে মেনে নিই তোমার কথা ? তেমন বিপদের সময় তোমাকে যদি কাছে না পাই, তখন কি হবে আমাদের ?
– আমি যে সবসময় আপনার, থুড়ি আপনাদের পাশেই আছি সুদীপদা । একবার বিশ্বাস করেই দেখুন না আমাকে । স্ত্রীকে ভালো করে বোঝান । তিনি যেন অহেতুক ভয় না পান ।
কেন জানি না তার কথা খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো আমার । তবু সামান্য সন্দেহ থেকে যাচ্ছে দেখে বললাম, সবই তো বুঝলাম, কিন্তু প্রমাণ ছাড়া… কথা বলে শেষ করার আগেই, আচমকা ঘরের ভিতর দপ্‌ করে জ্বলে উঠলো, ছোট্ট একটা উজ্জ্বল আলোর বলয় । আলোর বলটা জ্বলে উঠেই উড়ে এসে মিলিয়ে গেল আমার শরীরে । অমনি আমার গোটা শরীরে অদ্ভুত একটা শিহরন বয়ে গেল । ভয় কি বস্তু ভুলে গেলাম ।
পরদিন সকালে অহল্যাকে অনেক করে বোঝালাম, এতো সস্তায় এমন ভালো বাড়ি যে কোথাও পাবো না অহল্যা । তাহাড়া এখান থেকে আমার অফিস এবং বাবলির স্কুল যে খুব কাছে । বাজার-হাট, দোকানপাট – সবই প্রায় হাতের কাছে । প্রয়োজনে তুমি নিজেও চট করে কেনাকাটা সেরে নিতে পারবে । অহল্যা নিরুত্তর থেকে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে দেখে বললাম, ক’দিন দেখোই না কি হয় । তারপর নাহয় ভাবা যাবে বাড়ি পালটানোর কথা ।
আজ অফিস থেকে ফিরতে সামান্য দেরী হয়ে গেল । সাধারণত সন্ধ্যে সাতটার মধ্যে বাড়ি ঢুকি । আজ অফিস থেকে বেরোল্ম রাত দশটার সময় । অহল্যাকে আগেই ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, ফিরতে দেরী হবে । আজও বিকেল থেকে লাগাতার ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছিলো । বাড়ির গলিতে এসে ঢুকলাম প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ । খানিক আগেই থেমেছে । আকাশ বেশ পরিষ্কার । তারা ঝিকমিক করছে । এই এলাকায় রাত সাড়ে দশটার আগেই রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায় । ইতস্তত ছড়িয়েছিটিয়ে আছে গুটিকতক নেড়ি কুকুর । আমাকে চেনে বলে লেজ নেড়ে অভ্যর্থনা জানালো । আচমকা দূরে কোথাও একটা কুকুর কেঁদে উঠলো । পরক্ষণেই গোটা এলাকায় ঝপ্‌ করে লোডসেডিং হয়ে গেল । পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে টর্চ জ্বালতে যাচ্ছি, সহসা এই অন্ধকারেই, কে যেন শক্ত হাতে আমাকে চেপে ধরে রাখলো ।
চমকে উঠে শুধোলাম – কে ?
জবাব নেই । অন্ধকার সয়ে আসা চোখে, তারার আলোয় দেখি, একটা ছায়াছায়া মূর্তি ! জ্বলজ্বলে দুটো চোখে তাকিয়ে আছে । মনে হলো, যেন কিছু বলতে চাইছে আমাকে । পাড়ার কুকুরগুলো আচমকা কেঁউ কেঁউ রব তুলে যে যেদিকে পারলো ছুটে পালালো । টের পাচ্ছি, প্রচণ্ড একটা ভয় ধীরে ধীরে চেপে বসছে আমার বুকের ভিতর । আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেকে সংযত করে নিয়ে, অন্ধকারে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলাম, কে ? কে তুমি ?
এবার সেই গলাটা আমার বুকের ভিতর থেকে ফিসফিস করে বললো, ভয় পাবেন না সুদীদা । আমি আছি না আপনার সঙ্গে ? কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না আপনার ।
এরপরই ঘটে গেল অদ্ভুত একটা কাণ্ড । অবিশ্বাস্য হলেও, বেশ দেখতে পাচ্ছি, সেদিন বুকের ভিতর ঢুকে পড়া আলোর বলয়টা অসম্ভব ছটফটানি জুড়ে দিয়েছে আমার শরীরের সর্বত্র । সহসা নিজেকে আবিষ্কার করলাম, একদল গুণ্ডার মাঝখানে । বুঝতে অসুবিধা হলো না, টাকাকড়ির সঙ্গে আজ আমাকে প্রাণটাও খোয়াতে হতে পারে ওদের হাতে । এলাকার মানুষদের মুখেই শুনেছি, এই গুণ্ডাগুলো নাকি মাঝরাত্রে আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে, একলা পথিকের সর্বস্ব লুটপাট করে । প্রতিবাদ কতে গেলে প্রাণ নিতেও এতটুকু দ্বিধা করে না ।
সহসা অনুভব করলাম, কে যেন আমাকে ভিতর থেকে উত্তেজিত করে তুলছে । পরক্ষণেই সেই গলাটা আবার বেজে উঠলো আমার বুকের ভিতর, আক্রমণ করুন সুদীপদা । ভয় পাবেন না । আমি আছি না ?
ওই কথাগুলোই যেন আমাকে মারমুখি করে তুললো । আমিও সাতপাঁচ না ভেবে, ছিনতাইবাজদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম, আয় জানোয়ারের দল । আজ দেখবো, তোদের কত ক্ষমতা ।
এরপর সেই গলার নির্দেশেই আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে, এলোপাথাড়ি লাথিঘুসি চালাতে থাকলাম গুণ্ডাগুলোর শরীর লক্ষ্য করে । মার খেয়ে গুণ্ডাগুলো পালনোর পথ খুঁজে পেলো না । ওরা পালিয়ে যাবার পর, সেই গলাটা আবার বেজে উঠলো আমার বুকে, এখন আর ভয় নেই সুদীপদা । এবার নিশ্চিন্তে যান । আপনার স্ত্রী এক বুক উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছেন আপনারই ফেরার পথ চেয়ে ।
কথাগুলো বলা শেষ হতেই, সেদিনের সেই আলোর বলয়টা, আমার শরীর থেকে বেরিয়ে এলো । এবং সেই গলাটা বেজে উঠলো আমার কানের পাশে, জিজ্ঞেস করছিলেন না আমি কে ? আমি সুদীপ । বাকী কথা জেনে নেবেন বাড়ির কেয়ারটেকারের কাছে । কথাগুলো বলেই, আলোর বলয়টা দুম্‌ করে মিলিয়ে গেল বাতাসে ।
পরদিন কেয়ারটেকারকে গত রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা সবিস্তারে জানিয়ে শুধোলাম, সুদীপ কে ? আপনি চেনেন বললো ?
কেয়ারটেকার মানুষটি গম্ভীর গলায় জবাব দিলেন, উনি ছিলেন মালিকেরই একমাত্র সন্তান । বছর চারেক আগের এক রাতে, ওমন একদল গুণ্ডার হাতে প্রাণ খুইয়েছেন । যে-রাতে তিনি খুন হয়েছেন, তার পরদিনই গুণ্ডাদেরই একজনের, নাম ছিলো কেলো, লাশ পাওয়া গেছিলো খেলার মাঠের ধারে । কে বা কারা ওকে খুন করেছে, পুলিস আজও জানতে পারেনি । আমার ধারণা, সুদীপই ওই কাজ করেছে । বদলা নিয়েছে কারও সাহায্য নিয়ে । ওই যেমন, গত রাত্রে আপনার সাহায্য নিয়ে, গুণ্ডাগুলোকে শায়েস্তা করেছে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *