আমাদের এক একটি রঙিন পাতার জন্ম… আমাদের হইচই লেখকরা – ১
বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু মানুষের সাথে আলোচনা হলো, যারা সাহিত্য হইচই এর বিষয় নিয়ে খুব খুশি, কিছু মানুষ আরো জানতে উদগ্রীব, কিছু কিছু পুঁচকেদের আঁকা আর ছড়া নিয়ে অনেক কৌতূহল, আর অনেক বড়রা তাদের নিজেদের ছোটবেলা ফিরে পাচ্ছেন হইচই- এর মধ্যে দিয়ে। আজ আমি আমাদের হইচই লেখকদের নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই:
স্মৃতিকথা ঝখন ঝিকমিক করে, উত্তরবঙ্গের রূপসী গ্রাম, বৃষ্টি, শরৎের মায়াময় হাতছানি, কাশফুল আর ঢাকে কাঠি, কার্শিয়ং ভ্রমণ হোক কিংবা মেঘের রানী দার্জিলিং ঘোরা- লেখক গৌতম বাড়ই নিপুণভাবে চিত্রকল্প এঁকে চলেছেন আমাদের এক অনাবিল আনন্দে ছোটোবেলাগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে। একাধারে শিল্প, স্মৃতিকথা, সাথে ওনার এবং বিখ্যাত নেচার ফটোগ্রাফার পাপুন ভট্টাচার্য্যের ফটো আমাদের আনন্দ আরো দ্বিগুণ করে দিয়েছে।
ধারাবাহিক উপন্যাস/ রম্যরচনা, নির্মল হাস্যরস সবকিছুর সেই বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের উপহার দিয়ে চলেন আবুল কালাম আজাদ। তার আগের একটি ধারাবাহিক উপন্যাসও আমাদের হইচই থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। পেশাগত দিক দিয়ে আমাদের প্রত্যেক লেখক, নানা খাটনির পরেও কলম ধরে আমাদের এক একটি সপ্তাহে এক একটি সুন্দর মুহূর্ত অঙ্কন করে উপহার দেন, এর জন্যে আমরা অভিভূত।
দুই বাংলার বিশ্ববরেণ্য কবি এবং লেখক আরণ্যক বসু মহাশয়ের কলমে উঠে এসেছে ছেলেবেলার রূপকথা, পরিবার, গান, বৃষ্টি, ফুটবল, পড়াশোনা, ভাই-বোনেদের খুনসুটি, দুর্গাপুজো-কি নেই তাতে? পৃথিবীর বুক থেকে রূপকথা কি হারিয়ে যাচ্ছে? একদমই নয়, কারণ তাহলে তার লেখায়, পাখির কলরবে, অক্ষরের সরলতায় আবার আরেকটি করে রূপকথা প্রয়ত্যেক সপ্তাহে তৈরি হতে পারতো না। নিজের ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে আমাদের প্রত্যেক লেখক শুধুমাত্র ছোটদের পাতাটি সাজাবেন বলে যত্ন করে আমাদের এক একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত করে চলেছেন।
আমাদের লেখকদের নিয়ে এই লেখা চলবে, এটা তো সম্পাদকীয় নয়, একগুচ্ছ ফুলের উপহার শুধু তাদের জন্যে, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও, শুধু সৃষ্টির তাগিদে আমাদের মনের খোরাক জুগিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর। সামনের সপ্তাহে আমাদের আরো লেখকদের নিয়ে অনেক গল্প জমে থাকলো। পড়তে থাকুন সাহিত্য হইচই!
ছোটদের লেখা, ছোটদের আঁকা, ছোটদের জন্য লেখা বড়দের লেখা মেইল করুন আমাদের: sreesup@gmail.com / techtouchtalk@gmail.com