সম্পাদকীয়
by
·
Published
· Updated
ফাগুন রঙের কৃষ্ণচূড়া
শহরে হোক, কিংবা শহরের বাইরেই, আজকে ছোট্টবেলার বন্ধুদের আর বন্ধুদের সাথে কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িমেলা দিনগুলো ভারী মনে পড়ছে। বেড়ানোর সূত্রে, কর্মসূত্রে, অথবা গনগনে দুপুর-রোদের আঁচ আর তীব্রতা পেরিয়ে এখনো তো ইঁট-কাঠ-কংক্রিটের মাঝখানেও কৃষ্ণচূড়ার আগুনরঙা, ফাগুনছত্রে স্বপ্ন দেখি। কৃষ্ণচূড়ার বয়স হয়, লবণহ্রদের রাস্তার ধরে আমার ইশকুল যাওয়ার পথের কৃষ্ণচূড়ায় বাসা বেঁধে থাকতো ছোট্ট ছোট্ট শালিখছানা আর মায়ের গল্প বলার মুহূর্তগুলো হয়ে উঠতো খুনসুটি আর দুষ্টুমিতে ভরা।
ভালোলাগার, রঙের, কৃষ্ণচূড়ার শিকড়, কান্ড, পাতার বাহার, আর শীতল স্নেহ শহুরে আত্মার বুকে দু দণ্ড শান্তি ছাড়া কিছুই দেয়না। ছোট ছোট বাচ্ছারা কমলা আর লালে মেলানোমেশানো কৃষ্ণচূড়া আঁকে, এঁকে দেয় দহনের মাঝে, তাপের মাঝে এক মুহূর্তের শীতলতা। ছোটবেলাগুলো কেটে যায়, ইশকুল পেরিয়ে কলেজ, কর্মজীবনের ব্যস্ততা, সবকিছুর মাঝখানেও রয়ে যায় কিছুটা মন-আনচান করা বিকেলের মাঝখানে ভালোবাসায় ভরা কৃষ্ণচূড়া।
ছোট্ট বন্ধুরা, বড়রাও, তোমরাও তোমাদের মনের সেই ফাগুনের ফুলগুলোকে একেএকে ফুটিয়ে তুলে, তোমাদের কালি, কলম, রং-তুলি সবকিছু দিয়ে আমাদের সাহিত্য হইচই দপ্তরে পাঠিয়ে দাও তোমাদের লেখা, আঁকা, ভ্রমণ, রান্না, প্রিয় খাবার, খেলার খবর সবকিছু।
মেইল করো: techtouchtalk@gmail.com / sreesup@gmail.com
শ্রীতন্বী চক্রবর্তী