কর্ণফুলির গল্প বলায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী – ৪

চন্দ্রক্ষুধা

চার

পুষ্প কলেজ থেকে বাড়িতে ফেরে। রুমে ঠুকতেই তার মেজাজটা চটে যায়। সে চড়া গলায় তার মাকে ডাকতে শুরু করে। মা মা, একশদিন বলেছি এই আয়নাটা আমার রুমে রাখবেনা। মা কোন কথা না বলে আয়নাটা নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়। পুষ্পের বাবা ঘরে ঢুকে বলে- কি হয়েছে রে মা চিল্লাছিস কেন? বোরখা খুলতে খুলতে পুষ্প বলে যে জিনিসগুলো আমি পছন্দ করিনা , সেই জিনিসগুলোই যদি চোখের সামনে দেখি তাহলে চিল্লাবনা তো কি করব। আর আমি একশো দিন বলেছি আমার ঘরে কোন বাতি জ্বলবেনা, মোমবাতি জ্বলবে। কিন্তু তোমরা সে কথাটা শোননা। বাবা খাটে বসতে বসতে বলে তোর জন্য মোমবাতি কিনতে কিনতে আমার অবস্থা খারাপ। এ বদ অভ্যাসগুলো ত্যাগ কর মা। আর কতদিন অন্ধকারে থাকবি। এবার আলোতে আয়। অতীতকে ভুলে বর্তমানকে নিয়ে বাঁচ। আমি জানি ওই একটি দূর্ঘটনা তোর জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়েছে। আমাদের সাজানো সংসারকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয় মা। আমার বিরোধের কারণেই তোকে এই মূল্য দিতে হলো। শয়তানগুলোর টার্গেট ছিলাম আমি। কিন্তু খোদা তোর উপর কেন এই অভিশাপ নামিয়ে আনলেন। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়রে মা। পুষ্প বাবাকে থামিয়ে দেয় থাক ও কথা বাবা। যা ভাগ্যে ছিল তাই হয়েছে। মাকে বলো খাবার রেডি করতে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।