ক্যাফে গদ্যে সমরজিৎ চক্রবর্তী

সমরজিৎ চক্রবর্তী, রেলে চাকরি করি, পাশাপাশি একটু-আধটু চেষ্টা করি গল্প প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখার। প্রকাশিত হয়েছে দুটি গল্প গ্রন্থ ১) অচেনা রোদ্দুর ২) অনুরঞ্জন। আমারই সম্পাদনায় ২০০৬ সাল থেকে দীর্ঘ চোদ্দ বছর ধরে আদান, জনাই, হুগলী থেকে প্রকাশিত হয়ে চলেছে 'শব্দকিরণ' নামে একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা।

মহিলা নামাঙ্কিত ভারতের প্রথম রেল স্টেশন – বেলানগর

হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইনে একটি শান্ত স্টেশন। ট্রেন থামলেই মন ছুঁয়ে যায় অদ্ভুদ এক নির্জনতায়। হাওড়ামুখী ডাউন প্ল্যাটফর্মের বাঁ দিকে স্বামী সমুদ্ধানন্দ মহারাজ প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম। এই আশ্রমই হল বেলানগর স্টেশনের রূপকার। বেলা মিত্রের নামানুসারে স্টেশন তথা অঞ্চলটির নাম বেলানগর। বেলা হলেন স্বামী সমুদ্ধানন্দ মহারাজের মানসকন্যা এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রিয় ভাইঝি। নেতাজীরই আদর্শে অনুপ্রাণিত স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উৎসর্গীকৃত প্রাণ। আয়ুষ্কাল মাত্র ৩২ (বত্রিশ) বছর। এই স্বল্প সময়ে বেলা যে মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় রেখে গেছেন তা আমাদের প্রাতঃস্মরণীয়। চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্যেই তিনি যেমন মহাত্মার গান্ধীর পরম স্নেহাশিস লাভ করেছিলেন তেমনই হয়ে উঠেছিলেন সমুদ্ধ মহারাজের প্রিয় শিষ্যা তথা মানসকন্যা। বেলার সঙ্গে স্বামী সমুদ্ধানন্দ মহারাজের প্রথম পরিচয় ১৯৩৪ সালে। জামশেদপুরে। কাকা সুধীরচন্দ্র বসুর বাড়িতে। সমুদ্ধ তখনো মহারাজ হননি, ছিলেন ব্রহ্মচারী সমুদ্ধচৈতন্য। তাঁর সঙ্গে বসুবাড়ির যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত নিবিড়। নেতাজীর মা তাঁকে বাবা বলে সম্বোধন করতেন। ১৯৪৪ সালের শেষদিকে বেলা কলকাতায় এলগিন রোডের বাড়িতে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের লীলাসহচর এবং অন্তরঙ্গ পার্ষদ স্বামী অভেদানন্দ মহারাজের প্রিয় সেবক তথা শিষ্য ব্রহ্মচারী সমুদ্ধচৈতন্যের কাছে দীক্ষা নেন। তাঁর মন তখন উথাল-পাতাল। স্বামী হরিদাস মিত্র আলিপুর জেলে। আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারতীয় গুপ্তসমিতির প্রধান হরিদাস ইংরেজের শ্যেনদৃষ্টির অন্তরালে থেকেও ধরা পড়ে যান ১৯৪৪-এর মাঝামাঝি। তাঁর সঙ্গে বেলা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। ১৯৩৬ সালে ১ জুলাই। বেলা জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৯ সালে ২ নভেম্বর জগদ্বাত্রী পুজোর দিন। বেলা ১২টার সময় মামারবাড়ি ভাগলপুরে। পিতা সুরেশচন্দ্র বসু। শৈশব থেকেই মেধাবী বেলা লেখাপড়া শুরু করেন স্টুয়াট স্কুলে। সেখানে বহু ইংরেজ ছাত্রছাত্রী থাকা সত্ত্বেও ইংরাজী ভাষা পরীক্ষায় তিনি প্রথম হন।
গান্ধীজীর সঙ্গে বেলার প্রথম পরিচয় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। দ্বিতীয়বার দেখা হয় ১৯৩৮ সালে এলগিন রোডের বাড়িতে। তৃতীয়বার দেখা হয় ১৯৪৫ সালে সেপ্টেম্বরে। এই সময়ে বেলার চরিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য দিক আমরা দেখতে পাই।
গান্ধীজী তখন পুনায়। বাংলায় আসার জন্য তৈরী হচ্ছেন। ব্রহ্মচারী সমুদ্ধচৈতন্যের পরামর্শে বেলা ছুটলেন পুনায়। হরিদাসের প্রাণ-ভিক্ষার আবেদন নিয়ে। ইংরেজদের বিচারে হরিদাস সহ বাইশ (২২) জন আজাদ হিন্দ্‌ ফৌজের ফাঁসির হুকুম হয় ১৯৪৫ সালে ১১ সেপ্টেম্বরে। পরম স্নেহের পাত্রী বেলার কাছ থেকে সব শুনে গান্ধীজী বললেন যে, সব সৈনিকের ভরসা তিনি দিতে পারছেন না, তবে হরিদাসের প্রাণরক্ষার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। প্রতি উত্তরে বেলা নির্ভীক চিত্তে জানালেন যে, ওঁরা বাইশ জন দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতাজীর সঙ্গে মিলিত হয়ে সংগ্রাম করেছেন। তিনি মহাত্মার সাহায্যে স্বামীর প্রাণ নিয়ে ফিরে যাবেন আর তাঁর মতনই অপর একুশ জন অভাগীর জীবনে চির বৈধব্য নেমে আসবে, এই জন্যই কি তিনি জাতির জনকের কাছে এসেছেন? বাঁচাতে হলে সবাইকে বাঁচাতে হবে আর তা না হলে তিনিও চান না তাঁর স্বামী বাঁচুক। বেলার এই কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান গান্ধীজী। বড়লাট ওয়াভেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথমে সাময়িকভাবে সকলের ফাঁসি রদ করান। তারপর দীর্ঘ বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে ইংরেজ সরকার ১৯৪৫ সালে ৭ ডিসেম্বর হরিদাস সহ একুশ জনের ফাঁসির হুকুম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়।
এর আগেও বেলা এমনই মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেন আরো দু বার। হরিদাস ধরা পড়ার পর পরই আরো একদল গুপ্ত ফৌজ ওড়িষার উপকূলে ধরা পড়ে। সেই সময় বেলার ওপর দায়িত্ব এসে পড়ে গুপ্ত বিভাগের যাবতীয় নথিপত্র, ট্রান্সমিটার যেন ব্রিটিশ সরকারের হাতে না পড়ে। নানাবিধ ভয় ভীতি এমনকি হরিদাসের মুক্তি প্রলোভনেও তিনি তাঁর কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হননি। নষ্ট করে দেন সমস্ত নথিপত্র, ১৯৪৫ সালে ৪ সেপ্টেম্বরে।
কারাগারে হরিদাসের সঙ্গে দেখা করার প্রথম এবং শেষ অনুমতি পান গান্ধীজী যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে। মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর গলা বুজে আসেনি। মুহূর্তের ভুলেও কেঁপে ওঠেনি চোখের পাতা। অত্যন্ত শান্ত এবং অকম্পিত গলায় হরিদাসকে বলেন, ‘এতটুকু চিন্তা করো না, যে কর্তব্যভার তুমি আমার জন্য রেখে গেলে, আর্শীবাদ করো, আমি যেন তা পালন করতে পারি।’
তাঁর এই ওজস্বিতা ও শান্ত সমাহিত ভাব দেখে ডি.আই.জি. (আই.বি./সি.আই.ডি) মি.হার্ডউইক (Mr. Hardwick) টুপি খুলে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।
হরিদাস সহ একুশ জন মুক্তি পান ১৯৪৬ সালে ৩ ডিসেম্বর। মুক্তি পান বেলার প্রিয় ভাইজান আজাদ হিন্দ্‌ ফৌজের মেজর জেনারেল নাওয়াজ খান। এরপর দেশ স্বাধীন হয় ১৯৪৭-এ ১৫ আগষ্ট, তা আমরা সকলেই জানি।
স্বাধীন ভারতে বেলা বাংলার তরুণীদের নিয়ে ‘রাণী ঝাঁন্সি সেবিকা বাহিনী’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় সামরিক সজ্জায় বীরাঙ্গনা বেশে অশ্বারোহন করে প্রথম রাস্তায় নামে। সামরিক সঙ্গীতের ছন্দে প্রদর্শন করে অপূর্ব কলাকৌশল। কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় এই বাহিনীর সেবা আজও উল্লেখযোগ্যভাবে স্মরণীয়। এই প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে পূর্ব বাংলায় (অধুনা বাংলাদেশ) দাঙ্গার পর দলে দলে উদ্বাস্তু শরণার্থী এপার বাংলায় চলে আসে। শিয়ালদহ স্টেশন ও তার আশপাশ অঞ্চলে তখন মারকাটারি অবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সেই সময়ে বেলা ও তাঁর ‘রাণী ঝাঁন্সি সেবিকা বাহিনী’ ত্রাতার ভূমিকায় নিজেদের উজাড় করে দেয়। বয়ঃবৃদ্ধদের চোখের সামনে এখনো তা জ্বলজ্বল করে। এই সেবা একদিন দুদিন বা তিনদিন নয়, চলেছিল সাড়ে তিনমাস ধরে। অল্পদিনের মধ্যে চাঁদাও উঠেছিল প্রায় ১,০৩,০০০/- (এক লক্ষ তিন হাজার) টাকা। নববর্ষ এসে পড়ায় বেলা সমাগত উদ্বাস্তু সধবা মহিলাদের প্রত্যেককে একটি করে লালপাড় শাড়ি ও সিঁন্দুরের প্যাকেট হাতে দিয়ে সিঁন্দুর পরিয়ে দিয়েছিলেন। বেলা মনে করতেন, ভারতবর্ষে প্রত্যেক তরুণী যেন সামরিক শিক্ষা লাভ করে। তিনি বলেছেন, ‘যে দেশে নারী বিজাতীয়দের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়, সেই দেশে বিদ্যাশিক্ষার আগে বন্দুক ধরা কর্তব্য। যে দেশে নারীরা জহরব্রত গ্রহণ করে নিজেদের সতীত্ব রক্ষা করে, আগুনে ঝাঁপ দেয় তবু বিজাতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করে না, আমার জীবনে সাধ এই যে, সেই দেশের ঘরে ঘরে মেয়েরা সামরিক শিক্ষা লাভ করুক। তাদের আদর্শ হোক রাণী অহল্যা বাই ও রাণী দুরগাবতী।’
বেলার এই অভিলাষ পূর্ণ হয়নি। শরীর ধকল সহ্য করতে পারল না। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্য। হাঁপানির অসুখটা বৃদ্ধি পেল ব্যাপক। বাধ্য হলেন বিছানায় আশ্রয় নিতে। ১৯৫২ সালে ৩১ জুলাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে রাত্তির ১২টা ৪৭ মিনিটে যাত্রা করলেন মহাপ্রস্থানের পথে।
মানসকন্যার এই হঠাৎ করে চলে যাওয়ায় ভীষণ আঘাত পান স্বামী সমুদ্ধানন্দ মহারাজ। সংকল্প করলেন লোকালয়ে আর অবস্থান করবেন না। হিমালয়ের নির্জন অঞ্চলে জীবনের বাকি সময়টুকু তপস্যায় কাটিয়ে দেবেন। তাঁর এই অভিলাষের কথা শুনে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হলেন হরিদাস মিত্র। বললেন, ‘আপনি না বিবেকানন্দ অভেদানন্দের সন্তান।’ কথা বলতে পারলেন না সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী। তাঁর বিচলিত মন কোথাও একটু স্থিতু হতে চাইছিল তখন। বিচলিত স্বামী সমুদ্ধানন্দ যেন আলোর পথ দেখতে পেলেন। ১৩৫৯ বঙ্গাব্দে (১৯৫২) বেলার জীবৎকালে হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইনে রেল কেবিনের কাছে রাজচন্দ্রপুর গ্রামে ১ বৈশাখ আশ্রম প্রতিষ্ঠার সূচনা-সংকল্পে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের পূজা ও নববর্ষ পালন করেছিলেন, মনে পড়ে গেল তার কথা। আশ্রম প্রতিষ্ঠার সেই কথা শুনেই নবকুমার সাউ ও নিতাই পাত্র প্রমুখের সাথে হরিদাস মিত্রও এসে দাঁড়ালেন তাঁর পাশে। নবকুমারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ১৯৫০ সালে বেলার কার্মাটারের বাড়িতে। উদ্বাস্তু কল্যাণে নবকুমার তার প্রিয় দিদিভাই বেলা যখন যেখানেই থাকুক না কেন নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। কার্মাটারে থাকাকালীন বেলা একদিন নবকুমারকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন গুরুজীর সঙ্গে। এরপরেই যোগাযোগ তৈরী হয় নিতাই পাত্র, মদন পাত্র, সুফল ঘোষ প্রমুখের সঙ্গে। ১৯৫২ সালে নভেম্বরে, বাংলার ১৩৫৯ সালে কার্তিক সংক্রান্তিতে স্বামী সমুদ্ধানন্দ রাজচন্দপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম। সন্ধ্যেবেলা আশ্রম প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভায় গ্রামবাসীদের সামনে মানসকন্যা বেলার অলৌকিক জীবনকাহিনী বর্ণনা করে প্রস্তাব করলেন, ‘গ্রামের নাম বেলানগর’ রাখা হোক, তবেই স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসর্গীকৃত-প্রাণা মহীয়সী মহিলা বেলার পবিত্র জীবনাদর্শ আমাদের স্মৃতিপথে চিরজাগরূক থেকে আমাদের মহান আদর্শে সর্বদা উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।’ সভায় উপস্থিত সকলেই সর্বান্তকরণে সমর্থন করলেন তাঁকে। গ্রামের নাম হল ‘বেলানগর’। আশ্রম পরিচিত হল ‘বেলানগর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম’ নামে।
এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এসে উপস্থিত হল ১৯৫৮ সাল। ১৯৫২ সালে আস্রম যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন যাতায়াতের বিশেষ একটা সুবিধা ছিল না। এক দিকে মাইল দেড়েক দূরে ‘বালি’ মেন লাইন স্টেশন, অপর দিকে মাইল দুয়েক দূরে কর্ড লাইনের ডানকুনি স্টেশন। বালি কর্ড লাইন স্টেশন তখন কষ্টকল্পনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বালি কর্ড লাইন স্টেশন স্থাপিত হয় ১৯৮৭ সালে ৩ জানুয়ারি। যাইহোক, দিনে দিনে জনসংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে দূর দূরান্ত থেকে আগত ভক্ত সংখ্যা। সকলকেই ট্রেন ধরতে হয় অনেক কষ্ট করে, অথচ হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইন গেছে বেলানগরের ওপর দিয়ে। গ্রামবাসীরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন এখানে একটা স্টেশনের জন্য। তাদের আবেদন নিবেদনকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছিল না রেল কর্তৃপক্ষ। স্বামী সমুদ্ধানন্দ এসে আর্শীবাদের হাত রাখলেন তাদের পিঠে। শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। সই সংগ্রহ।
১৯৫৮ সয়াল। রেলদপ্তরের উপমন্ত্রী আজাদ হিন্দ্‌ ফৌজের মেজর জেনারেল শাহ্‌ নাওয়াজ খান। বেলা বহিনের নাম শুনেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। বেলার জন্মদিনে, জগদ্বাত্রী পূজোর পূণ্য দিনে ১৯৫৮ সালে ২৩ নভেম্বর (৭ অগ্রহায়ণ ১৩৬৫) রবিবার বিকেলবেলা আশ্রমের সামনে বেলা মিত্রের নামানুসারে উদ্বোধন হল বেলানগর স্টেশনের। উদ্বোধন করলেন শাহ্‌ নাওয়াজ খান। সঙ্গে ছিলেন বেলার স্বামী হরিদাস মিত্র এবং পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজার কৃপাল সিং মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন বেলার বাবা সুরেশচন্দ্র বসু, পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন স্পিকার শঙ্করদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ভূপতি মজুমদার এবং বিধায়কহেমন্তকুমার বসু প্রমুখ। রচিত হল ইতিহাসের এক বিরল অধ্যায়। রচনা করলেন স্বামী সমুদ্ধানন্দ মহারাজ। চিরাচরিত নিয়মানুসারে শিষ্যরা গুরুর স্মৃতি রক্ষা করেন, এখানে গুরু স্থাপন করলেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। স্থাপিত হল ভারতের মধ্যে কোনো মহিলার নামাঙ্কিত প্রথম রেলওয়ে স্টেশন – বেলানগর।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।