গনগনে মধ্য দুপুরেই বলা যেতে পারে, সদ্য কয়েকটা ক্লাস নেওয়া শেষ হলো, বিশ্রাম বলতে যা বোঝায় তা হয়তো হবেইনা, তবু… হালকা করে জার্মান হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘স্করপিয়নস-এর ‘উইন্ডস অফ চেঞ্জ’ চালিয়ে দিলাম। জানালার খাঁজে খাঁজে তপ্ত রোদের এক্রোব্যাটিক্স আর ভেতরে কি সুন্দরভাবে, সরলভাবে গানের সুর আর কথাগুলো মনে দোলা দিয়ে চলেছে:
” Take me to the magic of the moment
On a glory night
Where the children of tomorrow share their dreams”
ভবিষ্যৎ কি সেটা কখনোই জানা নেই, কোন মুহূর্তের ম্যাজিক তৈরী হয়ে আবার বিলুপ্ত হয়ে যাবে তারও কোনো ঠিক নেই, কিন্তু ট্রেন আর ট্রেন দেখা, সেই ইঞ্জিনের গুমগুম শব্দ, ঝটিতি হাওয়ার সাথে কথা বলা, এই সবই এখন মনে হয় ‘ওয়ানস আপন এ গ্লোরি নাইট- এর মতো ব্যাপার ছিল। Children of tomorrow আর তাদের স্বপ্ন আর আকাঙ্খার বিস্তীর্ণ উজ্জ্বলতা হয়তো সেই ছেড়ে আসা ট্রেন, মালগাড়ির আওয়াজ, ফাঁকা হয়ে থাকা ভুতুড়ে স্টেশন চত্ত্বর ভেদ করে ঢুকবেনা, সবুজ ঘাসে পা ফেলার আনন্দ অথবা সার্বিক বিশ্বায়নের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে হয়তো কখনো কখনো হাতে তুলে নেবে পুরোনো গিটার।
সাহিত্যে হইচই করার কখনো কি কোনো একটি প্রক্রিয়া, অথবা একটিই ফর্মুলা হয়? ছেড়ে আসা ট্রেন, দূর থেকে ভেসে আসা স্মৃতির উজানভাটি, নিষ্পাপ চেয়ে থাকা ষোলোআনা, আর কোনোকিছুই না করে অলসভাবে একটি সকাল কাটানো- এটাও তো আমার এক ধরণের হইচই বলেই মনে হয়। বয়স হচ্ছে চুলের, ত্বকের, বয়স হয়ে বোবা হয়না মন, বয়সের জানালা ভেদ করে ঢুকে পড়ে দুষ্টুমির ফাল্গুন নমুনাগুলো, ইতস্তত ছড়িয়ে দেয় সবুজ, তরতাজা গন্ধরাজ লেবুর স্বাদ, নুন-লঙ্কা দিয়ে জারিয়ে উপভোগ করি ছেলেবেলা আর কৈশোরের কোলাজ।
সেই ট্রেন-দেখা মুহূর্তগুলোকে ফিরে পেতেই বড়রা এবং ছোটোরা লেখা, আঁকা পাঠিয়ে দাও সাহিত্য হইচই-এ