একটা নাম না জানা ফুল অনেক দিন আগে ফুটেছিল আমার অন্তরের অরণ্যে…
প্রথম যেদিন তার পাপড়ি গুলোতে রঙ ধরেছিল সন্তর্পণে তার নরম,আদুড় গায়ে আলতোভাবে স্পর্শ করে যেন এক দুর্নিবার টান অনুভব করেছিলাম…
একটু একটু করে বড়ো হয়েছে সে আমার মধ্যে…
প্রতিদিন তার গতিবিধিতে থাকতো আমার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ,জলসিঞ্চনে সিক্ত হয়ে যেমন সে আনন্দ পেত,ঠিক তেমনি আনন্দ হত আমার!
হয়তো বা ওটাই ভালোবাসা ছিল…
একদিন সে মেলে দিল তার সমস্ত রঙিন পাপড়ি…
সেদিন সারাক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে,গন্ধহীন হয়েও এক অদ্ভুত সুবাসে ভরিয়ে রাখতো আমায়, খুব যত্নে-আদরে তাকে লালন করতে দিনরাত এক হয়ে যেত,সেই সাথে এক হয়ে যেতাম তার সাথে…
একদিন বড়ো অসুখ হলো তার…
ফিকে হয়ে এলো তার রঙিন পাপড়ি,জরাগ্ৰস্ত হয়ে গেল বৃতি,শ্বাস যেন অবরুদ্ধ হয়ে আসে তার..
মিনতি করলাম তাকে থেকে যাওয়ার জন্য,কিছু বললো না সে; শুধু নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আমার দিকে..!!!
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে..
দেখলাম নিজের অন্তিম মুহূর্ত,যেন ক্ষীণ হয়ে আসছে সবটা,সময় প্রায় শেষ….
বুঝলাম তার অসুখের কারণ আসলে আমি, আমার ভিতরে থেকে সেও সংক্রামিত হয়েছে!!
আমার মধ্যে জন্ম নেওয়ার চরম শাস্তি পেল একটা অবুঝ, নিষ্কলুষ ফুল!!