সহিতে চলে যে, সে সাহিত্য। সাহিত্য অর্থাৎ কিছু বলা- কিছু না বলা কথা, ছায়ার আড়ালে ছবি, জীবনের সাথে শব্দের প্রেম।
প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম স্কুলে পড়তেই। কবিতা, নাটক আর গদ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এক সত্তার সাথে। একটু একটু করে এগিয়ে গেছি তার কাছে– আর ফিরেছি দু’হাত ভরে নিয়ে। এভাবে বেশ ভালোই চলছিল প্রেম। তবে পেশাগত ভাবে কলেজে পড়াতে এসে একদিন হঠাৎই আবিষ্কার করি কেমন যেন ফিকে হয়ে আসছে আমার প্রেমের রঙ। প্রশ্ন-উত্তর আর খাতা দেখার অছিলায় পোস্টমর্টেম টেবিলে রোজ ক্ষত-বিক্ষত করে চলেছি আমার সেই প্রেমিকের শরীরটাকে।
পুরোনো প্রেমকে নতুন করে খুঁজে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল কবি- সাহিত্যিক-সম্পাদক আর সর্বোপরি আমার বন্ধু শাল্যদানী রূপমের হাত ধরে। আর যার কথা না বললেই নয়, সে আমার বোন সোমা। ওদের লেখা পড়েছি। মুগ্ধ হয়েছি। ওদের থেকে শিখেছিও অনেক। এবার মূলত ওদের ইচ্ছেতেই তরঙ্গের কার্যকারী সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব তুলে নিয়েছি কাঁধে। অনেকটা পথ চলতে হবে; জানি হয়তো সব সময় রাস্তা সহজ-সমতল হবে না। তবে পাশে চাই তরঙ্গের সকল সম্পাদক, লেখক আর অবশ্যই পাঠকদের। এক সাথে এগিয়ে যাবো, কথা দিলাম।
অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা রইলো।