Cafe কলামে ডঃ সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য – ১২

দেশের প্রথম ট্রাম লাইব্রেরী শুরু হলো কলকাতায়

করোনার দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন ক্রমশঃ স্বাভাবিক হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাস, ট্যাক্সি, মেট্রো নানা সতর্কতা বিধি মেনে চলতে শুরু করলেও আমফানের তান্ডবে এতদিন ট্রামের আস্তানা ছিল কারশেড। কিন্তু পরিস্থিতি সামলে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এই পরিবেশবান্ধব যানটিকে একটু বিশেষ ভাবে চালানোর জন্য ২টি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। আর সেই ভোলবদলের তথ্যই জানাবো আজ।
এবার বলবো সেই অভিনব উদ্যোগের কথা। পরিবহণ দপ্তর পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে কলকাতার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই যুক্ত করা হবে। আমফানের তান্ডবে কলকাতার ক্ষতিগ্রস্ত ট্রামলাইনগুলি সম্প্রতি সারিয়ে তোলা হয়েছে। আর আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে চলেছে স্টুডেন্টস স্পেশ্যাল ট্রাম।
ইতিমধ্যেই আবার স্কুল-কলেজ খোলার জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্যই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
আর দ্বিতীয় উদ্যোগটি হলো ভারতে মহানগরেই প্রথম শুরু হলো ট্রাম লাইব্রেরী। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের উদ্যোগে এক বগির এই এসি ট্রাম চলবে শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটে। এই ট্রামের রুটে থাকবে ২২টি স্টপ। লাইব্রেরীর জন্য লাগবেনা অতিরিক্ত ভাড়া। এসি ট্রামের ভাড়াতেই মিলবে বই পড়ার সুযোগ। বই পাড়া অর্থাৎ কলেজ স্ট্রিটের ওপর দিয়ে যাবে এটি। পথে পড়বে বেশ কিছু স্কুল-কলেজ ও ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রামে থাকছে নানা ধরনের বইয়ের সম্ভার। থাকবে বিভিন্ন উপন্যাস ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই, সাথে ওয়াই-ফাই এবং ই-বুক পড়ার সুবিধাও মিলবে। এছাড়াও বই প্রকাশ তো বটেই, নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে ট্রাম লাইব্রেরীতে। দূষণ ও স্বাস্থ্যবিধির কথা মেনেই পরিবেশবান্ধব এই যানটিকে আবার স্বমহিমায় ফেরানোর এই উদ্যোগ বেশ অভিনব এবং স্টুডেন্টস থেকে পাঠককুলের কাছে বেশ আকর্ষণীয় তাতে সন্দেহ নেই। কলকাতা তো বটেই, ভারতের মধ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। আর যাত্রীদের মনোরঞ্জনে এই উদ্যোগ সফল হবে বলেই মনে করছে পরিবহণ দপ্তর।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।