কবিতায় শীতল বিশ্বাস (গুচ্ছ)

জন্ম কথা
একটা কবিতা লেখার জন্য আকাশ থেকে
পেড়ে আনতে পারি চাঁদ,তারার
ঝুমকো,কিংবা রাত্রিঞ্চরীর ডানায় খদ্যোৎ
জোছনা,পারি রাতের দীর্ঘশ্বাস প্রলম্বিত করতে—-অন্ধকারের আবেগকে আলোর বিমূর্ততা জানাতে,আবারো গল্পের প্রয়োজনে
সূর্যালোকিত দিনমান হানি,অক্ষর গুলো টেনে সাজিয়ে দিতে পারি পরমাবেগে,তিতকুটে সময়ের মাজরা পোকা গুলোর জন্য রেডিওর কৃষি কথার আসরে কান পাতি,
এরকম কতো কথার উত্তর নিজেরাই ভাঙি,গড়ি, কিন্তু তোমার কথকতায় বিমূঢ় বোধ করি,জিভের উচ্চারণে জড়তা আসে,
কথা জন্মায় না —–
স্মৃতি
মনে পড়ে ঘাস চোখ,পার্বত্য চেতনা
মোমোর সুগন্ধভরা রসনা,
মেঘ জমে মেঘের ভেতর
জমে জমে কষ্ট পায়,ঝরে পড়ে
জীবনের পাতায়,নোনা দাগে
স্মৃতি জমে,অচঞ্চল দাঁড়িয়ে থাকা
পলকহীন মীন চোখ,আর
অনিমিখ দীর্ঘশ্বাস—-
বোঝা
পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে সময়
পায়ে পায়ে,
তীরের ডগায় ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ু
তীরের ডগায়,
মানুষের ভেতর জন্ম নেয় অজস্র মানুষ
মানুষের ভেতর,
আমরা সময়,আয়ু আর মানুষ
চিনতে পারিনা
বোঝা তো দূরস্ত্
পাদপ
গাছের মতো
দাঁড়িয়ে রয়েছি
একা,
বৃক্ষ হতে পারিনি