• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় সন্ধ্যা বোস

আমি ও রবীন্দ্রনাথ

রবি ঠাকুর রবি ঠাকুর
আমার বাড়ি এসো
তাড়া কিসের রবি ঠাকুর
একটু না হয় বসো।
কতো আপন হলেই এমন কথা বলা যায় তাই না? সত্যিই তো উনি আমাদের কতো আপনার। সুখে দুঃখে বিরহে আনন্দে সবেতেই উনি আছেন।
সাগরের গভীরতা যেমন মাপা যায় না। তেমনি ওনার সম্পর্কে যতোই জানার চেষ্টা করা হোক তবু কি সবটা জানা যায়?
আমাদের ছোট বেলায় মনে নেই সহজ পাঠ পড়েছিলাম কিনা। তবে আমার ছেলে মেয়েরা যখন সহজ পাঠ নিয়ে সুর করে পড়তো মনটা এক অনাবিল আনন্দে ভরে যেতো। তাঁর লেখা পড়ে সমৃদ্ধ হয় নাই এমন বাঙ্গালী তো হাতে গোনা।
ওনার চিত্রাঙ্গদা রক্তকরবী চন্দ্রালিকায় বার বার মুগ্ধ হয়েছি। ছিন্নপত্রে বিমনা হয়েছি আবার নষ্টনীড়ে শিহরিত হয়েছি।
ওনার কবিতা যখনই পড়ি নতুন মনে হয়। দেবতার গ্রাসে সেই মায়ের উক্তি
চল তোরে দিয়ে আসি সাগরের জলে…
এমন কথা তো কখনো মায়ের মনের কথা হতে পারে না।
আমরা মায়েরা শিউরে উঠি। ওটা তো শুধু মায়ের মুখের শাসন।
সে কহিল পুনরায যাইব সাগরে। এই একটা লাইন বুকের মধ্যে আলোড়ন তোলে যখন পুরো কবিতা পড়ার পর আবার ঐ যায়গায় ফিরে আসি। অন্তর্নিহিত মানে কতো গভীর মনে হয় তখন।
ফিরায়ে আনিব তোরে বলে—কহি ঊর্ধশ্বাস
ব্রাহ্মণ মুহূর্ত-মাঝে ঝাঁপ দিল জলে।
ঐ ব্রাহ্মণ তো রাখাল এর মাকে কতো কটু বাক্য বলেছে কিন্তু ঐ বালকের জন্য নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও জলে ঝাঁপিয়ে পড়লো তাকে বাঁচাতে।
অথবা
জন্মভূমি তে…. নম নম নম সুন্দরী মম
জননী জন্মভূমী।
বাংলার বধূ বুক ভরা মধু
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান।
বাংলার গ্রম্যবধূর কি সুন্দর বর্ণনা। যারা চিরকালই বঞ্চিত থেকেছে সমাজ সংসার থেকে।
ওনার লেখা পড়ে মরণ কে ও কতো আপন মনে হয়।
কি সুন্দর করে লিখেছেন
মরন রে…..
তুঁ হুঁ মম শ্যাম সমান।. মেঘবরণ তূঝ,মেঘজটাজূট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপূট,
তাপ বিমোচন বরুণ কোর তব
মৃত্যু – অমৃত করে দান
তুঁ হুঁ মম শ্যামসমান।
এমন মানুষ কে ভালো না বেসে কি পারা যায়? তাই তো বলি রবি ঠাকুর তুমি আমার শুধুই আমার।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।