কাটাছেঁড়া করতে গেলেই
কবিতার মৃতদেহ উঠে বসে… প্রাণ ফিরে পায়।
হাতজোড় করে বলে, ” আমাতে অন্তর্নিহিত এই
বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যে তুমি অস্ত্রের উপচার ঘটিওনা।
মৃতদেহে এখনো জীবিত এই চৌখুপি ঘর…
উঁকি দিয়ে দেখো পাঁজরের রাজধানীতে,
ঐ ওখানেই আছে সুদৃশ্য এক রাজপ্রাসাদ।”
ছিন্ন দেহের ফাঁকে আমি নবরত্ন খুঁজি।
নেই রাজা, নেই বিদূষক শুধু শব্দের ফাঁকিবাজি
মেলা জুড়ে বসে, কতো প্রাণ… প্রাচুর্য নেই তবু
সেভাবেও বেঁচে থাকা যায়,” বলো হে কাব্যশরীর
উপসংহারে তবে কেন এতো লোভ? “
ক্লান্তির দোর থেকে উত্তরে আসে,
“শব্দ, শব্দ জুড়ে কথা… কেন যে ফুঁপিয়ে মরে
ঝলসানো তারা, শূন্য আসনে এই উলঙ্গ শাসন,
বিদূষক চুপিচুপি চলে গেছে সে রাজার সাথে।
পাঁজরে ধাক্কা দিত যে মহাবিপ্লবী…
আমার বুক ছিঁড়েছো তুমি, যেমনটি করেনি
কোনো বাতাপি, ঈল্বল,
বিষনিঃশ্বাস নিতে নিতে ডুবে গেছি লেহনের গানে”।
অবশেষে ভারী মনে সৎকার থামে,
কেন যে কখনো তাকে লুইপাদে ফিরে দিতে পারিনা?