|| পঁচাত্তরে পা, সাবালক হলো না? || T3 বিশেষ সংখ্যায় সোনালি

স্বাধীনতা
এ শব্দের মানে আমি রোজ খুঁজি
শিশুকাল থেকেই।
কেন আলু কাবলি লুকিয়ে কিনতে হয়
বা সঞ্জীবদার দোকানের ঝাল কচুভাজা,
সেই বকুনির ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি
স্বাধীনতা কাকে বলে ।
কেন দুপুরে গল্পের বই পড়তে গেলে
অন্ধকার ঘরে দরজার ফাঁকে আলো
পাপোশের ওপরে শুয়ে চুরিই করতে হবে।
কেন জানলার পর্দা উড়লে তাকানো বারণ
এই সব সাত সতেরো প্রশ্ন।
এ সব কি স্বাধীনতা নয়?
বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র, বৈষ্ণব পদাবলীকে
“দূর ছাই” বলে, আস্তাকুঁড়ে ফেলে আসার
স্পর্ধা দেখালে –
প্রতিবাদ করার সাহস নেই।
তবে আর স্বাধীন কাকে বলে।
আমি রাতে আদর করব, না দিনদুপুরে,
আমি রাস্তায় হাত ধরে হাঁটতে
ভালবাসব কিনা, অথবা
আমি স্ত্রীলিঙ্গ জাতীয় প্রাণী সুতরাং পরিবারের কোন কিছুতে মতামত দেবার
সুযোগ আমায় দয়া করে দিলে
আমি কতটা কৃতজ্ঞতা জানাবো
এগুলো কি পঁচাত্তর বছর ধরে
কেউ ভেবে ঠিক করেছে?
না যদি করতে পেরে থাকে,
তবে এ স্বাধীনতা আমার
কি করে হল?
আমার বেয়াদব, ঘাড় না নোয়ানো,
তমিজ, ভদ্রতা আর ভালোমানুষির
ধার না ধারা মস্তিষ্ক আর মন
স্বাধীন ভাবে এইসব ভেবে চলে।
পঁচাত্তর বছর বয়েসী জরদগব
যাজ্ঞবল্ক্য স্বাধীনতা
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকে,
আর একটা প্রশ্ন করলেও তোমার মস্তক
শতধা হইবে!
তুমি চুপ করো, তুমি চুপ করো,
তুমি….