অথ শ্রী উপন্যাস কথা-তে সুতনু হালদার – ধারাবাহিক (অন্ধকারের উৎস হতে)

(সাত)
ইদানিং মনটা সব সময় যেন খিঁচিয়েই থাকে অনন্যার। অজানা একটা আক্রোশ যেন সর্বদা গ্রাস করে রাখে। এই ক’দিনে সৌমাল্যর সঙ্গে তেমন একটা কথা হয়নি। মাত্র একবার ছাড়া সৌমাল্যর সঙ্গে তার দ্যাখাও হয়নি। একদিনই মাত্র গভীর রাতে সৌমাল্য এসেছিল তার ঘরে।
যেদিন রাতে সৌমাল্য অসভ্যভাবে তাকে ওই কুপ্রস্তাবটা দিল, সেইদিন সন্ধেবেলা ছাদের চাবি নিতে সৌমাল্যর ঘরে অনন্যা গিয়েছিল, সৌমাল্য তখন ওর ল্যাপটপে কী একটা কাজ করছিল। এমন সময় রহমত চাচা সৌমাল্যকে নীচের ঘরে একবার আসতে বলল। অনন্যাকে ঘরে রেখেই সৌমাল্য রহমত চাচার সঙ্গে দ্যাখা করতে গেল। সেই অবকাশে সৌমাল্যর কিংবা সৌমাল্যর কাছে থাকা অনন্যার নিজের মোবাইলটা, অথবা যে কোনও একটা সচল ফোনের সন্ধানে অনন্যা পুরো ঘর তোলপাড় করে ফেলেও কোনো কিছুর সন্ধান পেল না। তার নিজের মোবাইলের সন্ধান তো নয়ই। একটা ফোন পেলেই এই নরক থেকে তার মুক্তি হতে পারে, এই চিন্তাতেই সময়ের সদব্যবহারে মেতে উঠল অনন্যা। কিন্তু কিছুই পেল না! শেষে সৌমাল্যর ল্যাপটপের ডালাটা ওপেন করে দেখল অফলাইনে সৌমাল্য চুপচাপ একটা সেক্স ভিডিও দেখছিল। ওটা মিনিমাইজ করে অনন্যা ল্যাপটপটাও ঘেঁটেঘুটে দেখল। তারপর নিজের মনেই অনন্যা বলল- ল্যাপটপটির কোনও নেট সংযোগ নেই! সেটা থাকলেও তার সমস্যার সমাধান কিছুটা অন্তত হতে পারত। এক আধটা মেইল তো করা যেত। আই পি অ্যাড্রেস দেখে তার লোকেশন বের করা খুব একটা কঠিন হত না। কিন্তু সৌমাল্য সেই সুযোগও রাখেনি। এইসব আজেবাজে পর্ণগ্রাফিতেই ল্যাপটপের মেমোরি ভরিয়ে রেখেছে। অনন্যা একবার চোখ বুলিয়ে দেখল প্রায় চল্লিশ জিবির একটা ড্রাইভ পুরোটা এইসব একই ধরনের পর্ণগামীতে ভরতি। যেটা চলছিল সেটা ম্যাক্সিমাইজ করে, একটুখানি দেখল অনন্যা, তারপর ওটা আগের মতো মিনিমাইজ করে, ল্যাপটপের ডালাটা নামিয়ে রেখে, ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। সেইদিন রাতেই সৌমাল্যর ওই কুপ্রস্তাব তার কাছে আসে।
ওই ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন চুড়ান্ত মানসিক অবসাদে থাকা অনন্যা একবার আত্মহত্যার বিফল চেষ্টাও করেছিল।সৌমাল্য পুরো ঘরটাই ম্যানুয়াল সিস্টেমের পাশাপাশি অটোমেটেড সিস্টেম করে রেখেছে। বৈদ্যুতিন স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতি এমনই জোরাল যে, অনন্যার সমস্ত আচরণই সৌমাল্যর সবসময় নখদর্পণে থাকে। পুরো বাড়িটিতেই সিসি ক্যামেরা বসানো। কোনও ঘরই বাদ নেই। অনন্যা সব থেকে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল, যখন সে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিল, তখন নিঝুম রাত। তবুও ঠিক সেই সময়েই বন্ধ দরজার লক খুলে সৌমাল্য হাজির হয়ে গিয়েছিল। অনন্যার আত্মহত্যার সমস্ত চেষ্টা বাঞ্চাল করে ফিরে যাবার আগে, সে রিমোটের সুইট টিপে দরজার লক খোলা দেওয়াটাও তাকে দেখিয়ে দিয়েছিল। সেই থেকে অনন্যা আর দরজা লক করে না। তার মনে হয়েছে — লক করে কী হবে! ওটা তো মন বোঝানো মাত্র। যখন ইচ্ছা সৌমাল্য সেটা খুলে ফেলতে পারে। আর এই বাড়িতে তো সৌমাল্য ছাড়া আর কারোকে তার কোনও ভয় পাবার নেই। সুতরাং যে ভরসায় এতদিন সে দরজা বন্ধ রাখত, সেই ভরসাটাই যেন উঠে গিয়েছিল। যদিও এতদিনেও যখন জোর করে সৌমাল্য তাকে কিছু করার চেষ্টামাত্র করেনি, তখন অনন্যার এইটুকু বিশ্বাস তাকে করতে ইচ্ছা করে। যদিও বিশ্বাস ভাঙলেও বর্তমানে কিছুই করার নেই তার।
কিন্তু এখান থেকে সে মুক্তি পাবে কী করে? এই চিন্তায় আজকাল অনন্যার মধ্যে সব সময় একটা অসহায়তা ফুটে ওঠে। হাজার ভেবেও কোনও কুলকিনারা করতে পারে না। অবসাদ আরো বাড়ে। সেখান থেকেই শুরু হয় অসহ্য একটা আক্রোশ। অনিমিখের সঙ্গে তার দাম্পত্য সম্পর্কে একটা শিথিলতা ছিল। বাইরে যতই ভদ্র পোশাক পড়ে থাক না কেন, বিছানায় অনিমিখ আদতে একটা সেক্স হ্যাংরি। বিকৃত তার চাহিদা। সেই সঙ্গে চরম স্বার্থপর একটা মানুষ। নিজের কেরিয়ার, ভোগবাসনা আর সুখ স্বাচ্ছন্দ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না সে। অনন্যা তার কাছে শুধুমাত্র একটা নারীদেহ ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আইনত সে তো এখনও তার বউ। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করবে না অনিমিখ? আজকাল যেন নিজের কাছে নিজেরই করা এই প্রশ্নটা অনন্যাকে যেন প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে। চরম অপমান সত্ত্বেও অনিমিখের সঙ্গে এতদিন কম্প্রোমাইজ করে এসেছে, শুধুমাত্র সংসারটাকে বাঁচানোর জন্য; কিন্তু সেই দায়িত্ব শুধু তার একার? অনিমিখের নেই? এই প্রশ্নের জবার অনন্যার কাছেও নেই। কিন্তু নিজের মন যখন প্রশ্ন করে, তখন তাকে এড়ানো কঠিন। অনন্যাও এড়াতে পারে না। আর পারে না বলেই আক্রোশটা ক্রমশ দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। সৌমাল্যকে খুন করতে ইচ্ছা হয় তার। তার জীবনটাকে এভাবে তছনছ করার কোনও অধিকার সে কারোকেই দেয়নি। এটা এবার সবাইকে বুঝিয়ে দিতে অনন্যার মন ছটফট করে ওঠে।
এই রকমভাবেই আরও বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেল। সৌমাল্য কখনও কোনও প্রয়োজনের আছিলায় অনন্যার ঘরে মাঝে মাঝে আসার চেষ্টা করে। যদিও সেটা খুবই কম। অনন্যা যতটা সম্ভব তাকে এড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতে শুরু করল। অনন্যা দিশাহীনতায় ভোগে, আর সর্বক্ষণ এখান থেকে মুক্তির উপায় ভেবে চলে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনও হদিশ সে পায় না! এই রকম ভাবে যখন দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় একদিন একটু রাত করে তার ঘরে এলো সৌমাল্য। একথা সেকথা বলতে বলতে সে অনন্যাকে বলল, ‘আমার ওই শর্তটার ব্যাপারে কী ভাবলে? কিছু জানালে না তো?’
কথাটা শোনামাত্র অনন্যার মাথাটা যেন দপ করে জ্বলে উঠল। এক ঝটকায় সৌমাল্যর জামার কলার খামচে ধরে, খাটের ওপর ঠেলে দিয়ে বলল, ‘আমার সঙ্গে সেক্স করবে! না? আমার সঙ্গে সেক্স করার খুব শখ হয়েছে? এসো, শখ মিটিয়ে দিচ্ছি…’
অনন্যার এইরূপ দেখে সৌমাল্য খানিক ঘাবড়ে গিয়ে বলল, ‘আমি তোমার ভালোবাসা চাই। ভালোবাসা শরীরে আর মনে সমানভাবেই বিস্তার লাভ করে। মন আর শরীর কোনোটাকে বাদ রেখে ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয় না। সেদিন তোমাকে তাই ওই কথা বলেছিলাম।’
এতদিন সৌমাল্যর সঙ্গে কথাবার্তায় অনন্যা এটা বুঝেছিল মুখে যতই ফটোরফটোর করুক, যতই ডেসপারেট হোক, মেয়েদের ব্যাপারে সৌমাল্য অনেকটাই আনাড়ি। সম্ভবত নারীসঙ্গের পূর্ব কোনও অভিজ্ঞতা তার নেই। নিজের ছ’বছরের বিবাহিত জীবনে অনিমিখের মতো দামাল পুরুষ-সিংহকে বিছানায় সামলাতে সামলাতে পুরুষের এই ব্যাপারটাতে অন্তত সে যথেষ্ট অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। সেই অভিজ্ঞতাটাকেই সম্বল করে এই নরক থেকে মুক্তির শেষ চেষ্টা করে দেখার একটা দুষ্টু বুদ্ধি অনন্যার মাথায় ঝিলিক মেরে খেলে গেল। নিজের মনকে বোঝাল, কিছু পেতে গেলে কিছু তো ছাড়তে হয়ই। এই কথা ভাবা মাত্রই নরম চাহনিতে খুব মিষ্টি সুরে সৌমাল্যকে বলল, -‘তাই! ঠিক আছে আমি রাজি। এসো তোমায় ভালোবাসি, দেখি তুমি কত ভালোবাসা নিতে পারো।’ বলেই মুহূর্তের মধ্যে নিজের নাইটি আর অন্তর্বাস খুলে ফেলে ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মতো সৌমাল্যর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল, ‘তোমার শর্ত আমি মানতে রাজি আছি। তোমার সঙ্গে টানা ত্রিশদিন ধরেই সেক্স করতেও রাজি। কিন্তু আমারও কিছু শর্ত আছে। তোমাকেও সেগুলো মানতে হবে।
-‘কী শর্ত?’
অনন্যা লাস্যময়ী হয়ে নিজের ওষ্ঠদ্বয় সৌমাল্যর ঠোঁটের কাছে এনে ফিসফিসিয়ে বলল, ‘ভয় নেই, ওগুলো আশা করি তোমার পছন্দেরই হবে।’
-কী শর্ত?’ সৌমাল্য আবার জিজ্ঞসা করল।
অনন্যা বলল, ‘তুমি আমার সঙ্গে সেক্স করার শর্ত রেখেছ, তাতে আমি রাজি। কিন্তু তার টাইপটা কেমন হবে, সেটা বলোনি, সেটা আমি ঠিক করব। তোমাকে মানতে হবে।’
-‘এর আবার টাইপ কী?’
-‘ওই যে, যেগুলোতে তোমার ল্যাপটপ ভরিয়ে রেখেছ, চুপিচাপি নিজে দেখো, তেমন টাইপের কিছু।’
-‘মানে?’
-‘যতক্ষণ আমি না বলব, ততক্ষণ তুমি ডিসচার্জ করতে পারবে না। যদি করো, তাহলে সেইদিনই আমাকে এখান থেকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। বলো রাজি?’
কোনও সুন্দরী যুবতী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় এভাবে কিছু আবদার করলে স্বয়ং ভগবানও যেখানে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন, সেখানে সৌমাল্য তো নারীসঙ্গে অনভিজ্ঞ সামান্য একটা পুরুষ মানুষমাত্র। তাকে নিজের শর্তে রাজি করাতে অনন্যার মতো সুন্দরী রূপসীর তেমন কোনও বেগই পেতে হ’ল না। অতঃপর বলাইবাহুল্য খেলা শুরু হবার আগেই যবনিকাপাত ঘটে গেল।
অনন্যা বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বলল, ‘আমি কাল সকালেই বাড়ি যেতে চাই। তুমি ব্যবস্থা করে রাখবে। মনে রেখো তুমি কিন্তু এই কথাটাই দিয়েছিলে। কথার খেলাপ করে আমার কাছে আর নিজেকে ছোটো করো না।’
এই কথা শুনে অনন্যার বাথরুমে ঢোকার আগেই সৌমাল্য বলল, ‘তুমি যখন চাও, আর আমি যখন কথা দিয়েছি, তখন কাল সকালেই তুমি বাড়ি যেতে পারবে। আমি ব্যবস্থা করে রাখব।’
বাথরুম থেকে ফিরে এসে অনন্যা আর সৌমাল্যকে ঘরে দেখতে পেল না।
সারারাত আর অনন্যার ঘুম এলো না। নানা রকম আজেবাজে চিন্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেল। কখনও জানলার পাশে কিংবা কখনও বা বিছানায় এপাশ ওপাশ করে সময় কাটতে লাগল। বারবার আজেবাজে চিন্তা আসছে তার মনে! এরপরে যদি সৌমাল্য তার কথা না রাখে, তাহলে তখন সে কী করবে? এসব ভাবলেই কিছুটা দিশাহীন লাগছে অনন্যার। পরক্ষণে নিজেকেই নিজে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল। মনকে বোঝাল এখান থেকে বের হবার জন্য সব চেষ্টা যখন ব্যর্থই হ’ল, তখন এছাড়া আর কোনও পথ তার ছিল না। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতেই হত। এখান থেকে কেউ তাকে উদ্ধার করবে কিংবা সৌমাল্যর শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে তাকে ছেড়ে দেবে, এসবের ওপর ভরসা করে আর কতদিনই বা সে অপেক্ষা করবে! মনকে শক্ত করে, নিজেকেই নিজে অভয় দিল, সৌমাল্য যদি তার কথা না রাখে, তাহলে বাকি ঊনত্রিশটা দিন তাকে এমন শিক্ষা দেবে যে, ভবিষ্যতে শুধু তার সঙ্গে কেন, অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গেই সেক্স করার কথা ভাবতেও ভয় পাবে। সৌমাল্যকে আঘাত করে সে একটা জান্তব সুখ পায়। আজকেও সৌমাল্যর সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে নিজের সমস্ত রাগ, ক্ষোভ সৌমাল্যর ওপর উগড়ে দিয়েছে। প্রথম থেকেই অনিমিখের সঙ্গেও এমনটা করা উচিত ছিল। তাহলে প্রতি রাতে অনিমিখের ওই অত্যাচারগুলো তাকে সহ্য করতে হত না, অসম্মানিত হতে হত না। কিন্তু সমস্ত প্রতিশোধের বদলা নিতে পেরে, আজ একটু স্বস্তি অবশ্যই সে পাচ্ছে। এইসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে ভোরের দিকে নিজের অজান্তেই অনন্যার একটু আবল্য মতো এসেছিল।
নিচের ঘর থেকে আসা চিৎকারে অনন্যার ঘুম ভাঙল। তখন ঘড়িতে সাড়ে সাতটা। চিৎকারের কারণটা কিছুক্ষণ বোঝার চেষ্টা করল অনন্যা। কিছুই বুঝতে না পেরে সে পাশ ফিরে শুলো। কিন্তু আওয়াজটা থামল না। অনন্যা বিছানা ছেড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সৌমাল্যর ঘরে উঁকি দিল। ঘর ফাঁকা। নিচের থেকে সৌমাল্যর গলা পাওয়া যাচ্ছে। অত্যন্ত ক্ষীণ কন্ঠ! অনন্যা নিচে এসে দেখল, পুলিশ এসেছে। সৌজন্যে রহমত চাচা। সৌমাল্যের সঙ্গে একবার চোখাচোখি হ’ল। অনন্যার চোখে বিজয়ীর চাহনি, আর মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি খেলে গেল। সৌমাল্য চোখ নামিয়ে নিল। পুলিশ অফিসার তাকে দেখে তার পরিচয় জানলেন। অনন্যা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানালো। সৌমাল্যকে অ্যারেস্ট করে পুলিশ গাড়িতে তুলে, অনন্যার দিকে তাকিয়ে বললেন সংশ্লিষ্ট অফিসারটি বললেন, ‘চলুন ম্যাডাম, আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিই।’
অনন্যা বলল, ‘হুমম। চলুন। আমি একটু ভেতর থেকে আসছি। প্লিজ যদি মিনিট পাঁচেক সময় আমাকে দ্যান, তাহলে অন্তত পোশাকটা চেঞ্জ করে, একটু ফ্রেশ হয়ে আসতে পারি।’
-‘হুম। যান। একটু তাড়াতাড়ি করবেন। সময় অল্প।’ সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারটি বললেন।
অনন্যা ভেতরে ঢুকে এলো। সঙ্গে সঙ্গে এলো রহমত চাচা। অনন্যা রহমত চাচাকে একটা ধন্যবাদ জানানোর জন্য একটুখানি দাঁড়াল। চাচা এসে অনন্যাকে বলল, ‘ছেলেটার কী কাণ্ড দেখলে! সকালে আমাকে বলল ‘পুলিশকে ফোন করে আসতে বলো।’ কিছু না ভেবেই ফোন করলাম। তারপরেই…’
অনন্যা কিছুক্ষণ রহমত চাচার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল, তারপর তার ঘরে ঢুকে রেডি হয়ে পুলিশ অফিসারের কাছে এসে বলল, ‘চলুন। আমি রেডি।’
ওদের নিয়ে পুলিশের গাড়িটি রওনা দিল। পড়ে থাকল একা রহমত চাচা। আর নির্বাক বাড়িটা পুরো ঘটনার সাক্ষী হয়ে আগের মতোই নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকল।
ক্রমশ…