গদ্য কবিতায় সুতনু হালদার

বাটালি-খোদিত
স্থান বদল হতে পারে, চমকিত ঘাসের আদল… অশ্বত্থ ছায়ায় ঘেরা সম্মোহনী মায়া; নিন্দুকের ক্লোনে এসো ক্লোরোফর্ম; জল থেকে আগুন, হতক্লান্ত অগ্নিজল! যমজ ব্রাউজারের দ্রাঘিমাকে খুঁড়ে সযত্ন বাটালি-খোদিত ঘুমনিবিড মাঠ; আহা! পড়ে আছে, পড়ে আছে, স্মৃতির ক্ষুধার্ত টুকরো… সেই জোড়-বিজোড় পোর্টফোলিওর একদিকে অক্টোপাশের জবানী, অন্যদিকের রুগ্নমাঠ দিয়ে উড়ে গ্যাছে উজান আস্কারা। বিষম আকৃতির এই সরলরেখায় কে যেন মাখিয়েছে কুয়াশাদানা! স্তনের স্পর্শে থাকা সদ্যজাত শিশুর থেকেও সরলতায় ক্রান্তদর্শী উপাত্তের জীবনপঞ্জীকে চোখে চোখ রেখে দ্যাখো–— বিকেন্দ্রীভূত লেজারে তৈরি করা ব্লকচেনগুলো আজও নিঃসৃত আগুন-জল-রক্ত-শ্রমের ধারাবিবরণী! অতি গুহ্যপ্রদেশে নির্নিমেষ থ্রিডির রক্তবর্ণ, স্বস্তিকার নাভিদেশে লতিয়েছে অতিদানবীয় হাঁ!
তবুও রোদের করতল মুছে ফের ছবি আঁকেন লিওনার্দো দ্যা ভেঞ্চি… আমাদের সেইসব আরব্যোপন্যাসের ফানুষ আরো মানবিক হোক তবে।