এই গল্পের সময় শ্বাশুড়ি ও এসে বসেন মস্ত চায়ের গ্লাস হাতে।
হ্যাঁ। বল। কি বর্ষা, উফ!
তিন দিন টানা জল। চারপাশ ভেসে যাচ্ছে।
আমাদের মায়ের ভারি দাপট ছিলো জানো তো।
আমাদের গ্রামে আমরা যে বর্ধিষ্ণু পরিবার , তা মায়েদের বাড়ি তার চেয়েও ঢের বেশি বড়লোক ছিল।
বাবাকে দেখছ ত, এখনো সাহেব? এক কালে হিট নায়ক বলরাজ সা্হানি বলতাম আমরা। মা কিন্তু কালো-কুলো গোলগাল ছিলেন।
তা শ্যামলা মেয়ের বিয়েতে একশো ভরি সোনার গয়না দিয়েছিল বাপের বাড়ি থেকে।
আর রান্না যা করতেন, আহা, আমরা কেউ তার ধারে কাছে ও যাই না।
মুচকি হাসেন বড় দিদি।
না না, কে বলে। আমি ত দেখি যাহা কল্যাণী চক্রবর্তী তাহাই সুমিত্রা ।
চটে যায় মেজবোন।
থামো দেখি মনদি।
বললেই হল ?
বিয়ে দিয়েছ কি রকম ঘরে, হ্যাঁ ?
মায়ের মতন হুকুমজারি করলে চলবে ?
কে শুনবে সে হুকুম, আর কে আমার বাবার মতো ভালবেসে অসুস্থ হলে নিজে হাতে পায়ে চটি পড়িয়ে দেবে ?
অনেক কপাল করলে অমন ঘর বর পাওয়া যায়।