অনামিকা! তুমি কি জানো?
রোজ রাতে চাঁদ আসে
আমার কুঁড়েঘরের জানালায়!
এক পলক থামে না,
সে, রয়ে যায় অন্তহীন ক্ষণ।
কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে,
সে এসেছিল, কিন্তু, মেঘের ছায়া
আড়াল করতে পারেনি,
তোমায় টেনে, ভালোবাসতে!
জানো কি তুমি?
আমি ঈর্ষা করি তাকে!
সে, কেনো তোমায় বাসবে ভালো?
অমাবস্যার আঁধার রাতেও
আমার কি ইচ্ছা হয় না, বলো,
তোমায় একটু একলা পেতে;
তোমার কোলে মাথা রেখে,
নগ্ন চুলে হাত বোলাতে!
মনে ব্যথা লাগে খুব,
যখন তোমার উন্মুক্ত কেশে
তারা ভরে দেয়, মিটমিটে সব!
আর আমি!
ঠেলে ফেলে দেয় গহীন আঁধারে,
যেন অপবিত্র, নশ্বর,
তোমায় কাছে পেতে।
অনামিকা! তুমি এমন কেনো?
ভালোবাসো তো আমায়!
তবে কেনো সে,
তোমার প্রথম প্রেমিক,
আর আমি হলাম, দ্বিতীয়?
কেনো ডাকো না, কাছে আমায়?
একটু আদর, আমিও যে পেতে চাই,
তোমার উষ্ণ বুকের মাঝে,
কনকনে শীতের রাতে।
তোমার উষ্ণ হাতে হাত রেখে
দূর দিগন্তে ছড়িয়ে থাকা তারা,
গুনতে চাই,
রাত জাগা স্বপ্নের বিভোরে।।
২| মৃত্যুতেই সব শেষ হয় কী
মৃত্যু মানেই কী সব শেষ?
শ্মশানে পুড়ে ছাই হওয়া,
কবরের অতলে তলিয়ে যাওয়া!
অবসাদ, ক্লান্তির অবসান;
রাতচরা দোয়েলের গান!
স্রোতস্বিনীর কুলকুল বয়ে যাওয়া
সময় পিছুটান রাখে কী?
কবিদের কলম কী চলে না?
বিবেক-টা চুপ করে রয় কী?
পাটাতনে লাশ তুলে হরিনাম,
কবরে নামায় বলে কলেমা;
আবেগের মায়া জলে ভেসে যায়
পরিজনের ঘরে ফেরে কান্না!