• Uncategorized
  • 0

কবিতায় বলরুমে রাকেশ শর্মা

খোয়াবনামা

নিষ্প্রভ রাস্তায় একলা হেটে চলেছি,
আধভাঙা চাঁদ শুকনো গাছের ডাল থেকে উঁকি দিচ্ছে;
ঝাপসা ক্যানভাসে তেজস্ক্রিয় ভেঁপুর শব্দ-
বোধ হলো সে হাত ধরলো! কিন্তু না..
আগের বছর উচ্ছল শুয়োপোকাটা প্রজাপতির রুপে ছিল,
আজ পূর্ব বসন্তের সন্ধ্যায় জেট প্লেন হয়েছে;
আমায় আজকাল স্পর্শ করে কম বটে,
বারুদ গন্ধে নাক শিটকে দূরেও যায়না! কিন্তু হ্যাঁ..
অকিঞ্চিত ডাকবাক্সের স্মৃতিবিন্দু ঝাকালে আবেশ উপর নিচ হয়,
খোয়াবনামার সম্মোহিত গিঁট হলদে রঙের সুতোয় বাঁধা;
অনুভূতির লকডাউনে আনন্দগৃহ ভরে ওঠে শরিকি কোলাহলের জীর্নতায়-
এক ঝাঁপ দিয়ে ছায়াপথ পেরোলো ক্ষতি নেই! কিন্তু না..
ফার্নগাছ পাহাড়ে সেটে থাকে, আলগা টানে ছেড়ে না,
এলানো রোদেও পাহাড়ে শীতের আমেজে জ্বর আনে না;
অক্ষরচাষী দূরের মনস্টারির ঘন্টা শুনে সুইসাইড নোট লেখে আলবাত-
কিন্তু জগতের মনোলগ, নিরিবিলি ওপেন থিয়েটার ভোলে না! কিন্তু হ্যাঁ..
বাস্তবে সব চরিত্র কাল্পনিক নয়,
বিজ্ঞাপনের হেডলাইন আর দেওয়াল লিখন নিখোঁজ ঈশ্বরের রুপ নেয়;
ফিকে হয়ে যাওয়া উপলব্ধি দুমিনিটের বিশ্রাম চেয়ে-
ক্রুশবিদ্ধ হয়ে স্বয়ং মাথায় কাঁটার মুকুট পরে। কিন্তু না..
পূর্বাভাসের টানাপোড়েনে হোঁচট খায় নতুন আঘাতের ব্লাক হোল,
প্রেম জীবন বাঁচা মরার খেলায় আগলে থাকে সাদা পাতা;
স্লোগান ওঠে- “জলকে চলো! জলকে চলো!”
আত্মহারা হয়ে নীরবতার রশ্মি ঝাপটে ধরে! কিন্তু হ্যাঁ..
নীল জলে স্নান রুম নম্বর ২০১ জানে,
বাঁশিমাখা সন্ধ্যা কবিতার জন্য আফসোসে কাঁদে;
তফাৎ শুধু দর্শকের উৎসাহী প্রেম আর জুয়া খেলায়-
অক্টোপাস সাবমেরিন পেয়ে যাবে বেমালুম! কিন্তু না..
রুপকথার বেনারসিটা দাউ দাউ করে জ্বলছে,
বাঁধানো পুকুর ঘাটে নতুন প্রেমিক প্রেমিকার ঠোঁট কামড়েছে;
অদ্ভুত কুয়াশার ভাসমান মেঘনৌকায় বসে-
কেবিন থেকে ক্যাপ্টেন বলছে “লম্বা ছুটি নেবো..”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।