• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে রেজুয়ান সরদার

১| তুমি যদি

তুমি যদি এক পশলা বৃষ্টি হতে
তবে, আমি ভিজতেম সারাদিন;
যদি নীল শরতের আকাশ হতে
তবে, রাঙাতেম রঙিন বেরঙিন।
যদি গ্রীষ্মে্র মৃদু বাতাস হতে
তবে, খুলে দিতেম বাহুদ্বয়;
যদি হেমন্তের শিশির বিন্দু হতে
তবে, ছুঁতেম সারা অঙ্গময়।
তুমি যদি পুষ্প তরুলতা হতে
তবে ভ্রমিতাম তোমার ‘পর;
যদি, তুমি নিশীথে ভয় পেতে
তবে, আমি জ্বালিতাম দিবাকর।
যদি তুমি নদীর উজান হতে
তবে আমি রইতেম পাড়ে বসে;
তুমি যদি গোধূলির দিগন্ত হতে
তবে অস্ত যেতেম, তোমার পাশে।
তুমি অনন্যা, তুমি অপরূপা
তুমি বলাকার কবোষ্ণ রাত;
আমি তো আনাড়ি হুতুম প্যাঁচা,
এক পলকেই, আমার কিস্তিমাত।

২| শুকতারা

দিনটা বড়ই বিশ্রী গেল আজ,
শুনতে কি চাও কারণ?
না কি! চৈত্রের প্রখর রোদের মাঝে,
আমার অপেক্ষা করা বারণ?
শালবনের ঝরা-পাতায় পাঠিয়েছিলাম
গোপন চিঠি, তোমার ঠিকানায়;
মুক্তকেশী, তুমি দাঁড়িয়ে আছো
আমার স্বপ্নের সাগর কিনারায়।
জানো?
আজকাল বড়ই উদাস লাগে,
কি যে, মনের কাছে চাই!
আলোক-ঝরা আঁধার রাতে
যদি তোমার কাছে যাই?
তখন;
এলো-কেশে বই নিয়ে হাতে
তুমি এলিয়ে বিছানায়,
এক পলকে মুচকি হেসে,
ফিরায়ে দেবে কি আমায়?
যদি শুকতারাটি না যায় নিভে,
হিমেল বাতাসই গান গায়,
কোকিল, শিমুল গাছের ডালে,
তবে কি আর চুপটি করে রয়?
মুক্তকেশী, তুমি সুর দিয়ে যাও
আমার মনের তানপুরায়;
মিলনের গান গাইব সুখের,
যাবে, সে, দূর দিগন্তে মিলায়।

৩| অপেক্ষার উত্তরণ

সময়কে আমি সময় দিই
সকল মূল্যবান কাজ ছেড়ে ,
সর্বদা সুখ খুঁজে বেড়াই,
নস্টালজিক, অতীতের ভিড়ে।
এদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসে,
নদীতীরে, গোধূলি বেলায়,
কত সুখের স্মৃতি পড়ে থাকে
ঐ নষ্ট নীড়ের মেলায়।
জ্যোৎস্নার কত রাতজাগা তারা
নেই যে, সময়ের পিছুটান,
শুধু, স্মৃতির খোঁজে সময় হারায়;
থাকে বেদনারা বলীয়ান।
না হয় আজ আমি ব্যর্থ মুকুল,
অতীতেই আমার আবাস,
পিছু টানে বিঁধুর স্মৃতিগুলো সব,
এ যে, সময়ের পরিহাস।
রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসার
আজ প্রয়োজন খুব জোর,
তবেই তো আবার সূর্য উঠে
দেবে, নতুন আলোর ভোর।
গোলকধাঁধার এ মায়াজাল মাঝে
আজ, জীর্ণ এ জীবন,
আশাবাদী তাই সময়ের কাছে
যদি হয় অপেক্ষার উত্তরণ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।