• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় রাই পারমিতা আইচ

উপহার

অপরাহ্নের বৃষ্টি শেষের মেঘ কোমল – গান্ধার চলনে মিশে যেতে ছাদে গিয়ে দাঁড়ান বিদুষী , বয়ঃজ্যেষ্ঠা নিরুপমাদেবী । সবজায়গায় হাত বোলাচ্ছেন নতুনকরে , মুদিত চোখের পাতায় অনুভব … এই তো অপু হাঁটছে , কোমল – কড়ি দৌড়চ্ছে।
ভরা সংসারে সুখ বৈভব টইটম্বুর ছিল। এই টানাপোড়েনে তার চাকরি , অভিনয় সবই আভিজাত্যের ফুলতোলা চাদরে স্মৃতিধূলো মেখেছে ।
সময়ের সালতামামিতে হঠাৎ কত্তামশাই বিদায় নিলেন। ঘূর্ণিপাকে সংসার , মন দুনৌকই তখন বেসামাল। সমস্ত দায়-দায়িত্ব বইলেন নিরুপমাদেবী। সাথে ত্রিরত্ন । তিনি ধৈর্য্য,পরিশ্রমের পরীক্ষায় জয়লাভ করলেন। কোমল , কড়ি সুপ্রতিষ্ঠিত হল। ঠিক সময়ে বিয়েও দিলেন । আরও ভালো চাকরি পেয়ে এবার বিদেশ যাবার পালা… সবাই জায়গা বুঝে নিচ্ছে ! তার মনের কোণে অশুভ কালোমেঘ উঁকি দিয়েই মিলিয়ে গেল । দ্বিতীয়বার নিঃস্ব হলেও আবার নতুন করে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। ভেবেছেন এ বোধহয় তার স্নেহের অধিকারের দহন , ঠুনকো অভিমানই পিছু টানছে …
আজ অপুটাও নিরুপমাদেবীর চারপাশে বিষাদের গন্ডি কেটে বিদেশ পাড়ির তোড়জোড়ে ব্যস্ত। তিনি আজ একা । নিরুপমাদেবীর অনুধাবন করেন। অন্য বৃত্তগুলো নির্ভূলভাবে আঁকলেও নিজেরটাই বাকি থেকে গেছে। সারাজীবন তিনি তাঁর সর্বস্ব দিয়েছেন। বিনা নিমন্ত্রণেই চারপাশ জলছাপ এঁকে গাল বেয়ে গড়াচ্ছে অমূল্য দানাগুলো । অবসন্ন , অস্থির পাগলপারা মন বলে চলেছে … “আপন শোভার মূল্য পুষ্প নাহি বোঝে , পেয়েছে সে যাহাকিছু দেয় তা সহজে” ।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।