|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় ঋতশ্রী মান্না
by
·
Published
· Updated
রোদ
“বড় শীত।ঘরটায় মোটে রোদ ঢোকেনা…”।
জানালা দিয়ে কিছুদূরের উঠোনে এসে পড়া রোদের দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অনুভাদেবী।প্যারালাইসিসে দুটো পা-ই অসাড় গত ক’বছর।ভারতী থাকে দিনরাত,দেখাশোনা করে।বহুদিনের পুরোনো লোক।
এই পুরোনো আমলের বাড়ি,উঁচু চৌকাঠ,অতগুলো সিঁড়ি পেরিয়ে এই চলৎশক্তিহীন জড়শরীরটাকে উঠোনে রোদে টেনে নিয়ে যাওয়া কি আর ওর একার পক্ষে সম্ভব..?
ভারতী এসে কম্বলটা অনুভাদেবীর গলা অবধি টেনে দেয়।
–“যা ওয়ার্কপ্রেসার অফিসে এখন..”,বহুদিন পর বাড়িতে পা রাখা অনুতোষ প্রতিবেশীদের সাথে কথাবার্তায় ব্যস্ত,”তবু,শেষমেশ রোদটা উঠল।যা ওয়েদার কদিন,আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”
গতরাত্রির প্রবল ঝড়ে উঠোনে প্যান্ডেলের সাদা কাপড় ক’জায়গায় খুলে ঝুলছে।প্যান্ডেলে শ্বেতচন্দন আর রজনীগন্ধার মালায় শোভিত অনুভাদেবীর ফটোটা এখন ঝলমল করছে সেখান থেকে এসে পড়া আরামদায়ক রোদে।