রৌদ্র বাড়ি আছো?
আমি যে তোমাকে খুঁজি আমার অস্তিত্বে, এ পাললিক উপত্যকায়
এ বর্ষা-রোদের রূপবৈচিত্র্যের দেশে।
লাল সবুজের পতাকাটা ঘিরে আছে তোমায়
এই সবুজ জমিন, অশ্বত্থ, আম, কাঁঠালের গাছ
শত শত লাশ, হাড়গোড়, করোটি পড়ে আছে যদিও
একটি পটাশিয়াম সায়ানাইডের বোতলে
আমার রক্তচোখ তোমাকে দেখে এই হাড়গোড়, লাশ, করোটির ফাঁকে
সবুজ শ্যামলিমায়।
তোমার কন্ঠ ভেসে আসে মহেঞ্জোদারো থেকে
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার কলকল ঢেউয়ে;
দিগন্ত নেই যেন এক দোয়েল পাখির!
থেকে থেকে সাইরেন বাজছে যুদ্ধে যাও যুদ্ধে যাও—
তুমি হাঁটছো আমার সাথে, আমাদের সাথে স্বতোৎসারিত
রাজপথ, মেঠোপথ, রাস্তার মোড়, নদীর এপার-ওপার
শহর, বন্দর, হাওর, বাওড় যেন মুক্তির ডাকে একাকার।
তবু জলকণার আবরণে তোমার সেই রিকয়েললেস রাইফেল দাঁড়িয়ে আছে প্রহরীর মতো
সাতই মার্চের তর্জনীর পাশে—
বর্গিরা আর নেই;
তুমি আছো অগ্নিঝরা ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তকণিকার সাথে তন্দ্রাহীন দাঁড়িয়ে!
শালপ্রাংশুর মতো আমার দিগন্তহীন হৃদয়গিরিতে
আর তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো জন্মভূমি রয়েছে অন্তহীন তোমার দিকে তাকিয়ে।