কবিতার স্বর্ণযুগে রামকিশোর ভট্টাচার্য (গুচ্ছ কবিতা)

এসো হে বৈশাখ
সময় দুলছে পদ্মপাতায়, শিরার-
পাকদন্ডি বেয়ে উঠছে, মনকে
দেহ থেকে কেটে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে
দিশেহারার পাশে। একটা মনমরা কবিতা
এগিয়ে চলেছে হাইরোড ধরে। একটু আগাছা,
জমাজল, একটা বছর ধিকিধিকি শেষ।
ধরিত্রীপতনের শব্দ কানে আসছে না!
একটা ক্লান্ত নীলচে বৈশাখ
ভোর ঘুমে থাকা আর একটা বৈশাখকে
ডেকে সাহস শুনিয়ে যাচ্ছে, একটা আশা
একদল স্বপ্নকে উপচে দিচ্ছে সোহাগ,
এপাশে রবিগান, ওপাশে নজরুল –
আবছা টুপটুপ, তোমার কোলেই মাথা রাখি
একটু ভেজা গন্ধের আদর হয়ে যাক
কোচিং কেলাস
একটা রান্নাঘর বসে আছে,
হাঁড়িতে নাচছে কিছু দু’টাকা কেজির স্বপ্ন ।
মশল্লার গন্ধে মম এ পাড়ার প্রকৃতপক্ষ যারা ।
ও পাশের ঠাকুরঘরে ফুটন্ত জলের গল্প ।
গল্পের গা মুছে চলেছে ধুপগন্ধের প্রলেপ ।
মানিয়ে যাচ্ছে দেখে একটা অপেক্ষারঙের জানলা
যে দিকে দু’চোখ যাবে তার চেয়ে দূরে
মন পেতে দাঁড়িয়ে থাকে ।
পাতা মনের বাঁকে বাঁকে শেষ গল্প কি ?
দরোজার বুকে নানা অগাধ অভাব
কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে সেসব নিয়ে
রান্নাঘর বা ঠাকুরঘরের একটুও হেলদোল থাকে না ।
বদলে যায় পোকামাকড়ের ঢং ।
স্পর্শরাখো তারে মেলা আটপৌরে সময়
উড়তে উড়তে দেখে সব
সোজাসাপটা মনের গায়েই
মশল্লার গন্ধ এঁকে দিচ্ছে সিদ্ধান্ত
রান্নার কোচিং কেলাস