কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে রবীন জাকারিয়া (গুচ্ছ কবিতা)

সঙ্গরোধ
থাকতে বলছে বাড়িতে
খাবার নেইতো হাড়িতে
জোর চেচিয়ে আর বাজিয়ে বাদ্য
বলছে ওরা পাঠাবে খাদ্য
সঙ্গরোধে তাইতো আছি
গুনছি সবার কাশি-হাঁচি
এরপরেও নেইকো সাড়া
অনাহারে যাব কি মারা?
বাইরে এলাম, নাকি পস্তাতে?
বাজার করতে হবে সস্তাতে
চাকরি নেই, নেই টাকাও
স্ত্রী বলে সংসারে তাকাও
ক্ষুধার নামে ছোট্ট মেয়েটি থাকছে রোজা
সবাই বলে কী? কাজটি কি এত সোজা?
ধার্মিক মেয়ে আপনার, হবে অনেক বড়
দোহাই তোদের যদি একটু সাহায্য কর
আর পারি না সইতে ওদের অনাহারের রোজা
আমি কি তবে হয়ে গেলাম সংসারেরই বোঝা?
ভয়
মাঝে মাঝে আমার ভয় লাগে,
প্রচন্ড ভয়
কালবৈশাখির ঝড়,
প্রচন্ড জলোচ্ছাস কিংবা
আর্থিক লোকসানের ভয় নয়
মৃত্যুর ভয়
মৃত্যুও জন্য নয়
বরং মৃত্যু পরবর্তি জীবনের জন্য
এহেন কোন পাপ নেই করিনি
কিন্ত নাজাতের রত্নগুলো
মূল্যহীন ভেবে ছুড়ে ফেলেছি
জীবন চলার পথে
বন্ধুদের আড্ডায় আমরাও
কতবার হয়েছি নাস্তিক কিংবা বস্তুবাদীদের দোসর
কখনো নিজেকে নিয়ে গিয়েছি
মুফতির গন্ডিকে ছাড়িয়ে
সীমাহীনভাবে
কতবার ঠিক কতবার
জানি না
শুধু জানি পাপ, ভীষণ পাপ
নিজের ভেতরের পাপী প্রবৃত্তি
নিজেকে কুড়ে কুড়ে খায়
যেন বেরিয়ে আসতে চায়
মাকড়সা শিশুর ন্যায়
নিজের জন্মদাত্রীর দেহাবরণ
উদরপুর্তি করে।