|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
উপন্যাস
‘বাসটা যখন তোকে নিয়ে ওই দূর রাস্তার বাঁক ঘুরে যাচ্ছে…ঠাহর হচ্ছেনা…দুচোখ ঝাপসা হয়ে এল।’ এভাবে শুরু করেও যে উপন্যাসটা শেষ হয়নি, তার প্রতিটি অদৃশ্য শব্দের কাছে ঋণী হয়ে আছে সৌরভের নিজস্ব জগৎ।
সেখানে নিরন্তর আত্মঅতিক্রমের একটা রাস্তা পেতে রাখা…অবিরাম চলনের ফুরিয়ে আসা নেই।
‘একটা কথা বলব তোকে।’ রিমির কথায় বিস্মিত সৌরভ বলেছিল, ‘পারমিশন নিয়ে কথা বলার এটিকেটও শিখে ফেললি তাহলে!’
‘দিব্যেন্দুরা আমাদের বাড়িতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কি যে করব বুঝতে পারছি না।’
সৌরভের জানা ছিলনা এখানে কি বলতে হয়। ও সিগারেটটা ঠোঁটে রাখতে গিয়েও রাখল না।
‘রাজী হয়েই যা। কাকু কাকীমার জন্য তো রইলাম।’
রিমির আলতো হাসিভরা মুখ পেছনে ফেলে রেখে ওদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এল সৌরভ। বুঝতে চেষ্টা করল, ওর এখন কি ধরণের অনুভূতি হচ্ছে। কষ্টের কামড়, হারানোর ব্যাথা, নৈঃশব্দের চাবুক…
উপন্যাসটা অসমাপ্ত রয়ে গেল। চরিত্র হয়ে উঠতে না পারার দায় কাকে দেওয়া যায় ভাবতে ভাবতে কখন যে সিগারেটটা ফুরিয়ে এসেছে খেয়ালই নেই। আঙুলে ছ্যাঁকা লাগল।