অণুগল্পে রমেশ দে

দান প্রতিদান
প্রচন্ড রোদে একটি ছোট্ট ছেলে ভিক্ষে করছে গেরামে ঘুরে ঘুরে। হঠাৎ একটি বাড়িতে এসে ছেলেটি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেল। কিছুক্ষণ পর ছেলেটির জ্ঞান ফিরে এলো। ছেলেটি জানালো সে সকাল থেকে কিছু খায়নি। বাড়িতে অসুস্থ বাবা রয়েছে। বাড়ির বউ প্রমিলা ছেলেটিকে পেট ভরে খাওয়ালো। তার বাবার চিকিৎসা করানোর জন্য কিছু টাকা দিল। অনেকদিন ছেলেটি আর সেই গেরামে আসেনি। এদিকে সেই বাড়ির একমাত্র ছেলে মারা যায়। বাড়ি ছেড়ে প্রমিলা অন্য জায়গায় চলে যায়। ছেলেটির বাবা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে। বাবা, ছেলে একসাথে কাপড়ের বেবসা শুরু করে দেয়। তাদের বেবসা এমনভাবে চলতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই আরো অনেক দোকান শহরে খুলে দেয়। কাপড়ের দোকানে সেই প্রমিলা নামের মহিলাটি আসে। এখন সে বিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাড়িতে সে একা স্বামী, ছেলে দুজনে মারা গিয়েছে ছেলেটি বৃদ্ধ মহিলাকে চিনতে পারে। একদিন তার জীবন সেই বাঁচিয়েছিল। ছেলেটি মহিলাকে বলে আমি সেই ভিখারী ছেলে সেইদিন খাবার খেয়ে জীবন না বাঁচালে আজ এসব কিছু হতো না। ছেলেটি মহিলাকে বাড়িতে রেখে মায়ের জায়গা দিতে চায়। মহিলাও আর যেতে পারেনি। মায়ার বন্ধনে সেও তার নীচের ছেলেকে তার মধ্যে দেখতে পায়। এর নামই ভালোবাসা!!!