অণুগল্পে রমেশ দে

চোর
বাচ্চা ছেলেটি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে সারাদিন কিছু খায়নি। তার বাবা, মা কেউ নেই। খিদে সহ্য করতে না পেরে একটি দোকান থেকে রুটি নিয়ে চলে যায় দোকানদার তাকে চোর বলে। একজন ব্যাবসায়ী খরিদ্দারকে ওজনে কম দেয়। খারাপ জিনিস দেয়। সে টাকার জন্য চুরি করে তাকে সবাই চোর বলে না। একজন মা ছেলেকে মানুষ করার জন্য অন্যের বাড়িতে চাকরের কাজ করে। সুযোগ বুঝে বড়ো লোকের দল তার উপর অত্যাচার করে। ছেলের মুখ চেয়ে কিছু বলতে পারে না। ছেলেকে মানুষ করার জন্য মাকে চোর সাজতে হয়। ক্লাসরুমে একজন ছাত্র খারাপ কাজ করে, শিক্ষক ঘটনাটি অন্য প্রিন্সিপালকে না জানিয়ে একবার তাকে ভালো হবার সুযোগ দেয়। এখানে ছাত্রের জীবন বাঁচানোর জন্য ওই শিক্ষকে চোর সাজতে হয়। বাড়িতে বাবা মেয়েকে পড়াশোনার টাকা দিয়েছে। মেয়েটি ওই টাকা দিয়ে কোনো একজন গরীব মানুষকে সাহায্য করেছে। টাকার হিসেব দিতে গিয়ে মেয়েটিকে বাবার কাছে চোর সাজতে হয়। একটি মেয়ে, একজনকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু বাড়িতে কিছু না বলতে পেরে চোর সেজে থেকে যায়। এবং ভালোবাসাকে চুরি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরীক্ষায় ভালো ফল করেও, চাকরি না পেয়ে ছেলেটি হয় মানসিক চাপে আত্মহত্যা করে, চাকরির জন্য টাকা চাওয়া সেই চোরকে, সে জিততে দেয়নি!!!