ক্যাফে গুচ্ছ কাব্যে রূপক চট্টোপাধ্যায়

কালান্তরে
কালান্তরে যাই।
পিছনে পড়ে থাকে সংসারের ঝুঁকি নিয়ে মধ্যবিত্ত কঙ্কাল। যার নাখের হাড়ে এখনও
রোহিণী নক্ষত্র জ্বালানো নাকছাবি। বর্ণময়!
মাথায় বটের চারা চাগিয়ে তুলেছে প্রাগৈতিহাসিক।
ফাটলে ফাটলে সরীসৃপ ফণায় বিষ জন্মায়,
হেসে ওঠেন নসট্রাদামুস!
দুই হাতের তালুতে ভ্রমের মেঘ,
শ্রেণিবিন্যাস ভুলে যাওয়া আঙুল
আবার একত্রিত হতে চায়।
নাব্যতার বয়স কই?
জগন্ময়ী হোটেলের বেড়ে ওঠা ভাতেই
তিনটে পথ শিশু ঐশ্বরিক। যুদ্ধের শঙ্খধ্বনির অপেক্ষায়। তারাও স্থির হয়ে আছে। কৃপানিধি!
কালান্তর কোথায়?
এই জন্মদোষে ফেরি করি আত্মবিলাপ শুধুই!
কি মিথ্যুক
এই উত্তপ্ত উপত্যকায়
কপালে কাঠকয়লা চাপিয়ে
শনির সাড়েসাতিতে ঝুলে আছি।
নীচে ব্যস্ত শহর। সুউচ্চ অট্টালিকা।
তারচেয়েও উঁচু অহংকারে বসে বসে
পা দোলাচ্ছে পাগল একটা। হেঁসে হেঁসে
শতছিন্ন ময়লা জোব্বার পোকেট থেকে
খুচরো পয়সা ছুঁড়ে দিচ্ছে নীচের দিকে।
সেই সব খুচরো পড়তে পড়তে বৃষ্টির পরমায়ু পেয়ে
অকাল বর্ষনে মুখর করে তুলেছে যানজট।
আবহাওয়া দপ্তর এইসব অকালবর্ষণের খবর দিতে না পেরে লাজুক শেফালী, কম্পিত কেতকী।
শনির সাড়েসাতি ‘কি মিথ্যুক’ হিসবে আমায়
এড়িয়ে চলে যায়।
বৃষ্টি তক্ষুনি এসে ঝাপসা করেদিলো আমার দৃষ্টি পথ।
কাকভেজা বয়স তখন আর ঘরে ফিরেতে চাইছে না