|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় রূপক চট্টোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
হঠাৎ বসন্ত
-একটু দাঁড়াবেন।
– এই তো দিলেন পিছু ডেকে।
– স্বাদে ডাকিনী, আপনার বিরুদ্ধে আমার অনেক অভিযোগ আছে। আপনি মশায় খুব বাজে লোক।
– সে কি! আমি আপনার কি ক্ষতি করলাম। আমি তো সকাল বেলা ব্যাগ হাতে বাজারে চলেছি। আপনি গায়ে পড়ে আমার সাথে ঝগড়া করছেন।
-আজ্ঞে না বিনা কারণে আমি বাক্যালাপ করি না।
আমি দশ বারোদিন ধরে লক্ষ্য করছি। সকালে স্নান সেরে আমি ছাদে শাড়ি মেলতে গ্যালে, আপনি তিনতলার জানলা দিয়ে আমাকে দেখেন। এটা কি মিথ্যা কথা? অন্তত বয়স টা তো নিজের দেখবেন।
– সে তো সত্তর ছুঁয়েছি। কিন্তু আপনি এই বয়সেও
এরম সুন্দরী হলে চোখ তো যাবেই। আর আমি যে আপনাকে লক্ষ্য করি, সেটাও আপনি জানেন তাহলে
আপনিও আমাকে লক্ষ্য করেন?
-আজ্ঞে না। আমার অনেক কাজ থাকে মশায়। সে ছাড়ুন। বলি আপনি কি বাজারে যাচ্ছেন।
– হুম যাবেন?
-যাবো বলেই তো বেরিয়েছি। আচ্ছা আপনার কি বিয়ে হয় নি।
– কি যে বলেন ম্যাম। আমার ছেলে বৌমা সব বেঙ্গালুরু বাসি। বৌ টা বছর দশ হলো নেই। ক্যান্সার।
চাপা স্বভাবের জেদী মেয়েমানুষ। সংসার সংসার করে
নিজেকে শেষ করে দিলো।
– ওহো! কিছু মনে করবেন না প্লিজ ।আমিও সেই যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি। পঞ্চাশ পার করে দিলাম।
স্বামী মারা গেছেন বছর দশ, তাঁর চাকরিটা পেয়েছি, আমাদের একমাত্র মেয়ে হ্যান্ডিক্যাপ।
– একটা কথা বলি।
-বলুন!
– আজ তো দোল পূর্ণিমা।
-হুম
-গালে একটু আবির দিলে কি রাগ করবেন? যাদি সম্মতি থাকে তবে দোকান থেকে এক প্যাকেট। কিনি?
– খুব স্বার্থপর লোক তো মশায় আপনি ! আমার জন্যও এক প্যাকেট কিনবেন। এই নিন টাকা।..